19 May, 2024
BY- Aajtak Bangla
ডার্ক চকোলেট পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। এটি অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ।
অনেক গবেষণা দেখায় যে ডার্ক চকোলেট আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ডার্ক চকোলেটে ১১ গ্রাম ফাইবার, ৬৬ শতাংশ আয়রন, ৫৭ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ১৯৬ শতাংশ কপার এবং ৮৫ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
অন্যান্য চকোলেটের তুলনায় ডার্ক চকোলেটে বেশি কোকো এবং কম চিনি থাকে। এটি সাধারণত দুধের চকোলেটের চেয়ে বেশি উপকারী এবং কম মিষ্টি।
ডার্ক চকোলেট সেবন হৃদরোগের অনেক বড় ঝুঁকির কারণ কমায়। এর মধ্যে একটি হল উচ্চ কোলেস্টেরল।
ফ্ল্যাভানল লাইকোপেন সমৃদ্ধ হওয়ায় ডার্ক চকোলেট মোট কোলেস্টেরল, এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত যৌগগুলি এলডিএল থেকে সুরক্ষা দেয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলিও আপনার ত্বকের জন্য খুব ভাল হতে পারে। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভানল সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ করে। ত্বকে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে পারে এবং ত্বককে টানটান এবং হাইড্রেটেড রাখতে পারে।
ডার্ক চকোলেট মানসিক চাপ কমাতে কার্যকরী। এটি খেলে আপনার মেজাজ ভালো হয়। ডার্ক চকোলেটে যে উপাদান পাওয়া যায় তা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী কর্টিসল হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিসে চকোলেট খাওয়া অদ্ভুত শোনাতে পারে তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে স্বাস্থ্যকর পরিমাণে কোকো-সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট আসলে এই রোগে উপকারী হতে পারে কারণ এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরে গ্লুকোজ বিপাক করতে সাহায্য করে।
ইনসুলিনের প্রতি আপনার শরীরের সংবেদনশীলতা বাড়ালে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে।
তাই বলে প্যাকেটের পর প্যাকেট ডার্ক চকোলেট খেয়ে গেলে কিন্তু লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দোকানে বিভিন্ন ধরনের ডার্ক চকোলেট কিনতে পাওয়া যায়। যে সব চকোলেটে কোকোর পরিমাণ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলি খাওয়াই ভাল। কারণ, এই ধরনের চকোলেটের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি এবং চিনি কম।
শরীর ভাল রাখতে এই ধরনের ডার্ক চকোলেট রোজ এক বা দু’কিউব করে খাওয়া যেতেই পারে। তার চেয়ে বেশি খেতে পারেন কি না, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। ক্যাফিনজাতীয় খাবার বেশি খেলে অনেকের আবার পেটের সমস্যা হয়। সে বিষয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।