23 MARCH, 2025
BY- Aajtak Bangla
কেউই নিজের ভুঁড়ি পছন্দ করে না। আসলে, সবাই চায় তাদের পেট সমতল হোক এবং ফিট দেখাক। অতিরিক্ত ওজন প্রায়শই একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস হ্রাস করে। এছাড়াও, এটি তার ব্যক্তিত্বের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এছাড়াও, ওজন একবার বাড়লে, আরও অনেক রোগও শরীরকে ঘিরে ধরে। এজন্যই সবাই নিজেকে স্লিম এবং ফিট রাখতে চায়। মানুষ এটি অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সকল উপায়ে চেষ্টা করে, তা সে জিমে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যায়াম করা হোক বা সঠিক ডায়েট গ্রহণ করা হোক।
কিন্তু কখনও কখনও কিছু ছোট অভ্যাস ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে খাবারের পরে কিছু ভুল।
বেশিরভাগ মানুষেরই খাবারের পর মিষ্টি কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকে। আসলে, আমরা সকলেই জানি যে খাবারের পরে গুলাব জামুন, আইসক্রিম বা যেকোনও মিষ্টি খেলে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু এটি আপনার ওজন দ্বিগুণও করতে পারে।
আসলে, মিষ্টি খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি আসে, যার ফলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খাবারের পরপরই এই জল পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনেকেই খাবারের মাঝখানে এবং খাবারের পরপরই জল পান করেন, যা তাদের ওজন বাড়ায়।
আসলে, যখন আপনি খাবারের পরপরই জল পান করেন, তখন এটি হজম প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা শরীরে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট পর জল পান করুন।
খাওয়ার পরপরই বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমনোও হজম প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। আসলে, যখন আমাদের শরীর বিশ্রামের অবস্থায় থাকে, তখন শরীরের বেশিরভাগ অংশই বিশ্রামের অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায়, পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতাও ধীর হয়ে যায়, যার কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না এবং এটি শরীরে চর্বি আকারে জমা হতে শুরু করে।
অতএব, খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে যেকোনও শারীরিক কার্যকলাপ করার পরই কেবল ঘুমনো উচিত।
যদিও খাবারের পর যেকোনও ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ করা বাঞ্ছনীয়, তবে এর অর্থ এই নয় যে খাওয়ার পরপরই আপনি ব্যায়াম শুরু করবেন। খাওয়ার পরপরই আপনি কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন, তবে ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
অনেকেরই খাবারের পর চা বা কফি পান করার অভ্যাস থাকে। আপনিও যদি এমন একজন হন, তাহলে আজই আপনার এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করুন। চা বা কফি পান করা এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে খাবারের পরে।
(Disclaimer: আমাদের নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। আরও তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)