25 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
গরম বাড়ছে। চড়া রোদে রাস্তায় বেরোলে ঝলসে যাচ্ছে চোখমুখ। বাড়িতেও স্বস্তি নেই। দুপুরের গনগনে রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা। বাড়িতেও যেন টেকা দায় হয়ে যাচ্ছে। অগত্যা ভরসা পাখা ও বাতানুকূল যন্ত্র।
কিন্তু কতক্ষণ আর যন্ত্রের কৃত্রিম ঠান্ডা ভাল লাগে! বেশিক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়ে রাখলেই ঠান্ডাগরম লেগে যাওয়ার ভয় আছে। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের পরিবেশ শীতল রাখা বেশি জরুরি।
তার জন্য অনেক উপায় আছে, যেমন গাঢ় রঙের পর্দার ব্যবহার, জানলায় আগেকার দিনের মতো খসখস টাঙানো, আর গাছপালা লাগানো। ঘরের ভিতরেই বেড়ে উঠতে পারে এমন কয়েকটি গাছ আছে যারা বাতাস পরিশুদ্ধ তো করেই, ঘরও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
এর অনবদ্য ফুলের শোভা যেমন চোখে শান্তি আনে, তেমনই গরমে বাতাস শীতল রেখে এটি দেহকেও আরাম দেয়। কেনার সময়ে একটু বড় পাতা দেখে কেনা ভালো আর বেশ কয়েকটা সারি দিয়ে একসঙ্গে রাখতে হবে।
এই গাছের গুণাবলীর কথা নতুন করে খুব একটা বলার নেই। এর পাতার ভিতরে থাকে জলীয় ওষধি উপাদান, যা ত্বকে লাগালে নিমেষে ক্ষত বা পোড়া জুড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রা কমাতেও কাজে আসে অ্যালোভেরা।
ঘরের বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড ছেঁকে নিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয় এই গাছ। স্নেক প্ল্যান্ট রাখলে ঘরের পরিবেশ শীতল থাকে। এই গাছ খুব কম জলে বাঁচে। বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে একদিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে একবার জল দিলেও চলে।
গাছের উজ্জ্বল সবুজ রং ঘরে আনে প্রাণের স্পর্শ। এই গাছ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরঠান্ডা রাখতে পারে। বহু দিন বাঁচে এই গাছ। যত্নেরও বিশেষ বালাই নেই। গাছ যখন বড় হয়ে যায়, তখন শুধু তার আধার অর্থাৎ টবটি বদলে দিতে হয় এবং নীচের দিকের পাতাগুলো ছেঁটে দিতে হয়। এরিকা পামের বড়-বড় সবুজ পাতা ঘরে স্নিগ্ধ অনুভূতি এনে দেয়।
এর বড় বড় পাতা খুব সহজেই চার পাশের উষ্ণতা শোষণ করে নেয়। তাই গ্রীষ্মে ঘর হিমশীতল রাখতে কাজে আসতে পারে বাম্বু পাম। শুধু দিনে বেশ কয়েকবার জল দিতে ভুললে চলবে না।
রাবার গাছ পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড দীর্ঘ ক্ষণ তাপ ধরে রাখতে সক্ষম, ফলে ঘরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাজেই ঘরের অক্সিজেন এবং উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে এই গাছ দারুন কার্যকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাস বিশুদ্ধ করতে মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর। গোল্ডেন পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। অনেকেই আবার এই গাছটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করেন। বিশুদ্ধ বাতাস সব সময়ই বেশি ঠান্ডা।