6 MAY, 2025

BY- Aajtak Bangla

এসব মানুষের জন্য বেশি আম খাওয়া আর বিষ খাওয়া সমান

আম বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করে। গ্রীষ্মকালে রসালো আম খাওয়ার এক আলাদা আনন্দ আছে। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি, আম স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। আমে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, তামা এবং ফাইবারও পাওয়া যায়।

কিন্তু আম খাওয়া কখনও কখনও আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।

খালি পেটে আম খাওয়ার কোনও সমস্যা নেই, কারণ এটি শক্তি বাড়ায়, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এটি অতিরিক্ত পরিমাণে না খায়। আমাদের শরীরের সকালে ক্ষারীয় খাবারের প্রয়োজন হয় এবং তাই টক ফলের পরিবর্তে এই জিনিসগুলি দিয়ে সকাল শুরু করা ভালো।

খাওয়ার পরপরই এবং রাতে ঘুমানোর আগে আম এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এই সময়ে আম খেলে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারেন তবে এটি খাওয়ার সময় তাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের আমের সঙ্গে বাদাম, বীজ ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে গ্লাইসেমিক লোড ভারসাম্যপূর্ণ থাকে।

এছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের সিজনের শুরুতে আসা আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে ভেজালের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আপনি সকালে স্মুদি আকারে আম খেতে পারেন অথবা লস্যিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি সন্ধ্যায় মিল্কশেকে আম খেতে পারেন এবং রাতে রাতের খাবারের পর মিষ্টি হিসেবে খেতে পারেন, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোএটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া।

যদি আপনি সঠিক পরিমাণে আম খান তাহলে আপনি যে কোনও সময় এটি খেতে পারেন, এটি আপনার কোনও ক্ষতি করবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কারণ এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

এছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার খাওয়ার পর আম একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি চিনির মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তাহলে খুব কম পরিমাণে আম খাওয়া উচিত। এছাড়াও, যদি আপনার আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তাহলে খালি পেটে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।