28 November, 2023
BY- Aajtak Bangla
শীত মানেই লাগাম ছাড়া খাওয়াদাওয়া। পার্টি, পিকনিক, ভ্রমণ, বিয়েবাড়ি তো লেগেই থাকে। তাছাড়া, বাড়িতেও মাঝেমধ্যে কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া চলে।
লাঞ্চ, ডিনারে তো জমিয়ে খাওয়া হয়ই। পাশাপাশি রোজ সন্ধ্যা বেলায়ও ভাজাভুজি খেতে মন চায়। চপ, পকোড়া, শিঙাড়া, চাউমিন, রোল, মোমো - কিছু না কিছু থাকেই প্রায় দিন বিকেলের মেনুতে।
তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার পরেই শুরু হয় অস্বস্তি। পেট ভার হয়ে থাকে। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হয়।
রোজ এই ভাবে খেতে থাকলে কিন্তু রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তাই বলে কি ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে? না একেবারেই নয়! মাঝেমধ্যে ভাজাভুজি খাওয়া যেতেই পারে।
তবে খাওয়ার পর মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। জেনে নিন তেলেভাজা খাওয়ার পর কী কী নিয়ম মেনে চলবেন।
ভাজাভুজি খাওয়ার পর জল তেষ্টা পেলে হালকা গরম জল পান করুন। এতে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়। ফলে পেট ভার হয়ে থাকে না।
ভাজাভুজি খাওয়ার পর গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভালো হজমে সাহায্য করে। তাই তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রিন টি খেলে শরীরের অস্বস্তি ভাব দূর হবে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভারী খাবার খেয়ে তারপর এক বাটি টক দই খেলে আরাম পাবেন। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আর খাবারও চটজলদি হজম করায়।
ভাজাভুজি খাওয়ার পরপরই আইসক্রিম বা ঠান্ডা সফ্ট ড্রিঙ্কস ভুলেও খাবেন না। এই সব খাবার হজম প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেয়, ফলে পেট ভার হয়ে থাকে। বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে।
তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাবেন না। এতে হজমের গোলমাল শুরু হয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে।
খাবারের পরে হালকা গরম জলের সঙ্গে এক চা চামচ জোয়ান খাওয়া খুবই উপকারী। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়। গ্যাস, অ্যাসিডিট, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের সমস্যা দেখা দেয় না।