BY- Aajtak Bangla

এসব কারণেই মেয়েরা তাদের বয়স কাউকে বলে না, রহস্যটা জেনে নিন

31 MARCH, 2025

একজন মহিলাকে কখনই তার বয়স এবং একজন পুরুষকে কখনই তার আয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়। এটা সহজ শোনাতে পারে, কিন্তু এর পিছনে লুকিয়ে আছে গভীর বোধগম্যতা এবং সংবেদনশীলতা।

একজন নারীর জীবন পরিবারের প্রতি নিবেদিত। সে তার সন্তান, স্বামী এবং পরিবারের সুখের জন্য নিজের সুখ-দুঃখ ভুলে বেঁচে থাকে। তার বয়স বাড়ানো তার কাছে কোন ব্যাপার না কারণ সে তার বয়সের উপর নয় বরং তার পরিবারের সুখের উপর তার পরিচয় তৈরি করে।

নারীর বয়স সম্পর্কে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই ভিন্ন। নারীরা তাদের বয়স সম্পর্কে সংবেদনশীল এবং সমাজের এই মানসিকতার কারণে তারা তাদের বয়স প্রকাশ করতে দ্বিধা করে।

একজন মানুষের উপার্জন কেবল তার জন্য নয়, বরং তার পরিবারের জন্যও। সে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাতে তার পরিবার সুখী ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারে।

পুরুষদেরও এই মানসিক চাপ থাকে যে তাদের উপার্জন তাদের সম্মান এবং সমাজে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করে। এই চাপের কারণে, তারা প্রায়শই তাদের প্রকৃত আয় লুকিয়ে রাখে যাতে অন্যদের তুলনায় নিজেদেরকে অবমূল্যায়ন না করা হয়।

আচার্য চাণক্যের এই বার্তা আমাদের বলে যে, নারী-পুরুষ উভয়েরই তাদের জীবনে স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠে অন্যদের জন্য বেঁচে থাকা উচিত। একজন নারী তার পরিবারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে আর একজন পুরুষ তার পরিবারের জন্য সংগ্রাম করে।

অতএব, এই দুজনকে তাদের বয়স এবং উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা তাদের অবদান এবং নিষ্ঠার অসম্মান বলে বিবেচিত হবে।

 অন্যদের জীবনে উঁকি দেওয়ার আগে, আমাদের তাদের ত্যাগ এবং সংগ্রাম বুঝতে হবে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই তাদের পরিবারের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে, তাই তাদের সম্মান করা এবং তাদের অবদানের প্রশংসা করাই জীবনের প্রকৃত দর্শন।

 শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতাই জীবনের আসল মূলধন। নারীদের নিষ্ঠা এবং পুরুষদের কঠোর পরিশ্রম বুঝতে পেরে, তাদের প্রকৃত প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত।