বয়স ৩৫ পেরেলো যে টেস্ট করতেই হবে, ডাক্তারের পরামর্শ
রোগভোগের কোনও বয়স হয় না। বর্তমানে কর্মব্যস্ত সময়ে তো এই কথা সবার জন্যই প্রযোজ্য।
তবে কারও বয়স যদি ৩৫ পেরিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই কয়েকটা টেস্ট করানো দরকার। না হলে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে।
৩৫ বছর বয়সের পর ব্লাড প্রেশার চেক অবশ্যই করানো দরকার। আপনার প্রেশার ঠিক আছে কি না জানতে এটা করিয়ে নিন।
চিকিৎসকদের মতে, পাঁচ বছরে একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো দরকার। ৩৫ বছরের পর তো অবশ্যই করা দরকার। আর যদি হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে একদম ঝুঁকি নেওয়া চলবে না।
বয়স বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যদি আপনার ওজন বেশি হয় এবং অল্প কাজ করেই অস্বস্তি আসে, ক্লান্ত লাগে তাহলে অবশ্যই ৩৫ বছর বয়সের পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে।
যদি আপনার পরিবারে ক্যানমসারের ইতিহাস থাকে তাহলে ৩৫ বছর বয়সের পর অবশ্যই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং করানো দরকার।
এর মধ্যে রয়েছে ফেকাল ইমিউনোকেমিক্যাল টেস্ট, মল-ভিত্তিক ফেকাল অকাল্ট ব্লাড (জিএফওবিটি), স্টুল এসডিএনএ পরীক্ষা, কোলোনোস্কোপি, সিটি কোলোনোগ্রাফি এবং সিগমায়েডোস্কোপি।
এখন প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য স্ক্রিনিং সাধারণত ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে করা হয়।
তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ নেই এমন লোকদেরও পরীক্ষা করানো দরকার।
তার কারণ এই রোগের কোনও উপসর্গ থাকে না। পারিবারিক ইতিহাস থাকুক বা না থাকুক এই ক্যানসারের টেস্ট নিয়ে দেরি করবেন না।