12th November, 2024
BY- Aajtak Bangla
বাবা মা সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই চাইলেও সন্তানকে যথেষ্ট সময় তাঁরা দিতে পারেন না।
সেই অভাবটা পূরণ করে দেন দাদু ঠাকুমা। তাঁদের স্নেহ, আদর ও প্রশ্রয়ে ছোট চারাগাছের মতো বেড়ে ওঠে একটি শিশু।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞান বলছে যে শিশুদের আরও বেশি করে সময় দাদু ঠাকুমাদের সঙ্গে কাটানো উচিত।
দাদু ঠাকুমার সঙ্গে বেশি করে সময় কাটালে শিশুরা সহনশীলতা শিখবে। দাদু ঠাকুমা নাতি নাতনিদের পুরনো দিনের গল্প বলেন। এর ফলে সমাজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ছোট থেকেই ধারণা তৈরি হয় শিশুদের।
দেখা গিয়েছে যে সব শিশুরা দাদু ঠাকুমার সঙ্গে সময় কাটিয়েছে তারা সমবয়সী অন্য শিশুদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান ও পরিণতমনস্ক।
নিজেদের পরিবারের নানা কথা দাদু ঠাকুমার কাছ থেকে শুনে তারা বিপদে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, তা শিখেছে।
যে সব শিশুরা দাদু ঠাকুমা এবং দাদু দিদিমার সঙ্গে বেশি করে সময় কাটায় তাঁদের মধ্যে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা গড়ে ওঠে।
বাবা-মাকে সব সময় কাছে না পাওয়ার শূন্যতা ভরাট করে দিতে পারেন দাদু ঠাকুমা।
সন্তানকে নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া প্রাথমিক ভাবে তার বাবা মায়ের দায়িত্ব। কিন্তু এই বিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন দাদু ঠাকুমা।
ছোট্ট শিশুর মনোজগতে বিশাল প্রভাব ফেলে দাদু ঠাকুমার গল্পচ্ছলে বলা নানা কথা। তাই আপনি যদি সন্তানকে আদর্শের শিক্ষা দিতে চান, তাহলে তার দাদু ঠাকুমার সঙ্গে অবশ্যই সময় কাটাতে দিন।