BY- Aajtak Bangla
19 March, 2025
মানুষের মস্তিষ্কে কিছু বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ হলে মন ভালো থাকে, আনন্দ অনুভূত হয়। এই হরমোনগুলিকে "হ্যাপি হরমোন" বা ভালোলাগার হরমোন বলা হয়।
মূলত ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন—এই চারটি হরমোনই আমাদের মনকে উৎফুল্ল রাখে।
রোদে বের হলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় এবং মন ফুরফুরে রাখে।
ঘুম কম হলে ডোপামিন ও সেরোটোনিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
গান শুনলে ডোপামিন ও এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ডার্ক চকলেট, কলা, বাদাম, দই, মাছ ও ডিমের মতো খাবার সুখের হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়।
ধ্যান এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস করলেই স্ট্রেস হরমোন কমে গিয়ে সেরোটোনিন ও অক্সিটোসিন বৃদ্ধি পায়, যা মানসিক প্রশান্তি আনে।
হাসলে শরীরে এন্ডরফিন বাড়ে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন প্রাণখোলা হাসির অভ্যাস করুন।
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়, যা সুখী অনুভূতির অন্যতম কারণ। ভালো সম্পর্ক মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চিত্রাঙ্কন, লেখালেখি, গার্ডেনিং বা যেকোনো সৃজনশীল কাজে যুক্ত হলে ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে।
পরোপকারমূলক কাজ করলে অক্সিটোসিন এবং সেরোটোনিন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক প্রশান্তি ও সুখ অনুভূতি বাড়ায়।
এই ১০টি অভ্যাস মেনে চললে সুখের হরমোন বাড়িয়ে আরও আনন্দময় ও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।