25 May, 2025
BY- Aajtak Bangla
গরমে ঠান্ডা জল পান করা সকলের জন্য অপরিহার্য। যদিও আজকাল রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার সাধারণ হয়ে উঠেছে, মাটির পাত্রে রাখা জল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী এবং প্রাকৃতিক।
পাত্রের জল কেবল শরীরকে ঠান্ডা করে না, বরং এতে মাটির উপাদানও থাকে যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য উপকারী। কিন্তু কখনও কখনও যখন খুব গরম থাকে, তখন কলসির জল আমরা যতটা ঠান্ডা চাই, ততটা ঠান্ডা হয় না।
কলসিটি সর্বদা এমন জায়গায় রাখুন যেখানে সূর্যের আলো না থাকে এবং সঠিক বায়ু চলাচল থাকে। ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে রাখলে জল স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা থাকে।
কলসির চারপাশে একটি ভেজা সুতির কাপড় বা বস্তা জড়িয়ে দিন। জল শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়ার ফলে পাত্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং জল ঠান্ডা থাকে।
প্রতিদিন এটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং শুকিয়ে গেলে কাপড়টি আবার ভিজিয়ে নিন। বারান্দা বা উঠোন থাকলে রাতে খোলা জায়গায় কলসি রাখুন।
রাতের ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসার কারণে কলসির তাপমাত্রা কমে যায়, যার কারণে সকালে জল খুব ঠান্ডা পাওয়া যায়। মনে রাখবেন পাত্রটি যেন ঢেকে রাখা থাকে, যাতে ধুলো তাতে না পড়ে।
পাত্রটি একটি বড় টবে বা পাত্রে রাখুন। এবং তার চারপাশে বালি ভরে দিন। নিয়মিত সেই বালি ভেজাতে থাকুন। এটি বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়াটিকেও ত্বরান্বিত করবে এবং কলসির তাপমাত্রা হ্রাস পাবে, যার ফলে জল ঠান্ডা থাকবে।
নিয়মিত কলসি পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সপ্তাহে কলসি পরিষ্কার করে রোদে শুকোন। পাত্রটি যদি ভিতর থেকে নোংরা হয়, তাহলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যা জলের গুণমান নষ্ট করতে পারে।