BY- Aajtak Bangla
13 December 2023
বর্তমান সময়ে, স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি খুব সাধারণ সমস্যা। এটিকে হালকাভাবে গ্রহণ করা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ ও উদ্বেগকে শুরু থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি প্রতিরোধ ও কাটিয়ে উঠতে কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক চলুন।
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা এড়াতে সবার আগে প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি করার ফলে, শরীরে সুখী হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মেজাজের উন্নতি করতে পারে এবং মানসিক চাপ দূর করতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও এর জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই প্রতিদিন সকালে অন্তত আধা ঘণ্টার জন্য আপনার পছন্দের ওয়ার্কআউট যেমন জুম্বা, অ্যারোবিক্স, যোগা ইত্যাদি করুন।
যদি আপনি একদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোন, তবে এর সরাসরি প্রভাব আপনার মেজাজ এবং এনার্জি স্তরে দৃশ্যমান হয়।
এমন অবস্থায় ভাবুন, মানসিক চাপের কারণে প্রতিদিন যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব পড়বে। তাই মানসিক চাপ দূর করতে ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি।
আপনি যতই জাঙ্ক ফুড থেকে নিজেকেদূরে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, তা কোনো না কোনোভাবে আপনার কাছে পৌঁছাবেই। এতে আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা সহজ কাজ নয়, তবে স্বাস্থ্যের জন্য এটি করতে হবে। যতটা সম্ভব আপনার ডায়েটে ফাইবার, তাজা ফল এবং শাকসবজি, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
কম্পিউটারে কাজ করা থেকে শুরু করে টিভি দেখা এবং ফোন ব্যবহার করা, আমরা সবাই এটা করি। কিন্তু আপনি কি জানেন অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে?
অতএব, স্ক্রিন টাইম কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। যেমন অফিসের কাজ শেষে কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকুন।
কফি বা চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা কমিয়ে ফেলুন। যদিও আপনার মনে হতে পারে চায়ে চুমুক দিলে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না।
এতে উপস্থিত ক্যাফেইন আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও প্রভাবিত করে, যার কারণে স্ট্রেস এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।