24 March, 2025
BY- Aajtak Bangla
গরম পড়েই গেছে মোটামুটি। আর গরম পড়তেই হিটওয়েভের ভয় পিছু ধাওয়া করছে। গরম থেকে বাঁচাতে বাজারের একটি সবজি কিন্তু দারুণ উপকারী। এটা একটা ফল। যা কাঁচাও খাওয়া যায়, রান্না করেও খাওয়া যায়।
গ্রীষ্মের মরশুমে আপনি এমনি, বা সাধারণ বা বিট লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। সুগারের রোগীদের জন্য এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে এর সেবন খুবই উপকারী।
গ্রীষ্মে কাঁচা আম খেলে আপনি শুধু সুস্থই থাকতে পারবেন না, অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতেও পারবেন। কাঁচা আম শরীরে জল সরবরাহে সাহায্য করে, যা আমাদের হজমের জন্য অপরিহার্য। এটি নিয়মিত খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়।
গরমে মশলাদার খাবার খেলে প্রায়ই পেটে অ্যাসিডিটি হয়। আপনিও যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে বিটনুন দিয়ে কাঁচা আম খান। এতে খাবার সহজে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস তৈরি হবে না।
গ্রীষ্মকালে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়া গরমে শরীরে জল সরবরাহের জন্য ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে।
গ্রীষ্মের মরসুমে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে কাঁচা আমের চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে না। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
কাঁচা আম শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে আয়রন সরবরাহ করতেও ব্যবহৃত হয়। আপনারও যদি সুগারের অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
কাঁচা আম শরীরে জল সরবরাহে সহায়ক, যা আমাদের হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে রয়েছে অ্যাসিড, যার কারণে গরমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়। এতে থাকা পেকটিন সাধারণ পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেট খারাপ, পাইলস, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় সাহায্য করে।
নিয়মিত কাঁচা আম খেলে চুলের রং কালো থাকে এবং এটি ত্বককে দাগহীন ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
যদি আপনি অতিরিক্ত ঘামেন, তবে কাঁচা আমের সরবত বা যে কোনও আকারে এর ব্যবহার সহজেই এই সমস্যাটি দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত হবে।
একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কাঁচা আম খেতে পারেন। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম আম খাওয়া ভালো।