17 MAY 2025

BY- Aajtak Bangla

এই ভুলেই ব্লাস্ট করে 'কমোড', বসার আগে সাবধান

সম্প্রতি গ্রেটার নয়ডায় কমোড বিস্ফোরণে এক ছাত্র গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। এই ঘটনাটি অবশ্যই মর্মান্তিক, কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটেনি।

এর আগেও এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল - কমোডে কীভাবে বিস্ফোরণ হতে পারে? এর পিছনের কারণটা জানুন।

এই বিস্ফোরণের পিছনের কারণ হল মিথেন গ্যাস। এটি একটি অত্যন্ত দাহ্য গ্যাস যা সামান্য স্ফুলিঙ্গেও আগুন ধরতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো এই গ্যাস টয়লেটে কীভাবে পৌঁছেছে?

যখন জৈব বর্জ্য (যেমন মানুষের মল, খাদ্য, উদ্ভিদ বা প্রাণীর বর্জ্য) অক্সিজেন ছাড়াই পচে যায়, তখন অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই ব্যাকটেরিয়া মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে।

যখন টয়লেটের বর্জ্য কমোডে জমে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লাশিং না হয় বা পাইপ আটকে যায়, তখন সেখান থেকে মিথেন তৈরি হতে শুরু করে।

গ্রেটার নয়ডার কমোড ব্লাস্টের মামলায়ও একই রকম কিছু ঘটেছিল। গ্যাস বের হতে না পারলে ভেতরে জমতে থাকে।

যখন মিথেন গ্যাস বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ফেটে যেতে পারে।

এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে, টয়লেট বা পায়খানার ট্যাঙ্কে গ্যাস যাতে না জমে। সেজন্য বায়ুচলাচল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাথরুমে এক্সস্ট ফ্যান লাগাবেন। সময়ে পায়খানার ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করবেন।

যদি গ্যাসের মতো গন্ধ হয়, তাহলে একজন প্লাম্বারকে ডাকুন।