BY- Aajtak Bangla
8 APRIL, 2025
ভূত বিশেষজ্ঞদের মতেও কলকাতার অনেক জায়গাতেই প্রেতাত্মার উপস্থিতি আছে। যাঁরা ভূত মানেন না, তাঁরা এসব কথায় কান না দিলেও ভূত প্রেতের প্রতি আগ্রহ কিন্তু মানুষের চিরকালীন। দেখে নেওয়া যাক কলকাতার কোন কোন জায়গায় অশরীরীর খোঁজ পেতে পারেন আপনি।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অনেকে বলেন, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল চার্লস মেটকাফের স্ত্রী লেডি মেটকাফের আত্মা নাকি এখনও ঘুরে বেড়ায় ন্যাশনাল লাইব্রেরির আনাচে-কানাচে। অনেক রক্ষী নাকি রাতের অন্ধকারে এক মহিলার কান্না শুনতে পান।
রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনেই আত্মহত্যার সংখ্যা সবথেকে বেশি। শোনা যায়, রবীন্দ্র সরোবর থেকে যাঁরা শেষ মেট্রো ধরেছেন, তাঁদের নাকি অনেকেই অদ্ভুত কিছু অভিজ্ঞতার সাক্ষ্মী থেকেছেন । কখনও কেউ ছায়ামূর্তি সরে যেতে দেখেছেন, কখনও শোনা গিয়েছে চিৎকার।
হেস্টিংস হাউজ ব্রিটিশ আমলে গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের বাসভবন ছিল হেস্টিংস হাউজ । বর্তমানে সেটি এখন মহিলা কলেজ । সেখানকার ছাত্রীরাই কলেজে নানারকম ভূতুড়ে কাণ্ড-কারখানার সাক্ষ্মী থেকেছেন। এক সাহেবকে ঘোড়ায় চড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখেছেন অনেকে।
পার্ক স্ট্রিট গোরস্থান কলকাতার ভুতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থান। ওই গোরস্থানে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মৃত ব্রিটিশ সেনাদের কবর রয়েছে ।
আকাশবাণী অশরীরীদের আনাগোনা রয়েছে আকাশবাণীতে। রাত গভীর হলেই আকাশবাণীর ফাঁকা স্টুডিওতে স্যুট পরে সাহেবদের কাজ করতে দেখা গিয়েছে। আবার অনেকসময় রাতের বেলা আকাশবাণীর স্টুডিও থেকে ভেসে আসে বিভিন্ন রকম ফিসফিসানি আওয়াজ বা যন্ত্রের সুর ।
হাওড়া ব্রিজ অনেকে বলেন, হাওড়া ব্রিজে নাকি নানারকম ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানাও ঘটে। হাওড়া ব্রিজে নাকি প্রায়ই রাতের বেলায় সাদা শাড়ি পরে কেউ হেঁটে যান। অনেকেই সেই দৃশ্য নাকি নিজের চোখে দেখেছেন।
রয়্যাল টার্ফ ক্লাব বর্তমানে কলকাতাবাসীদের কাছে পরিচিত রেসকোর্স হিসেবে। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন টার্ফ ক্লাবে জর্জ উইলিয়ামস সাহেবের পাঁচটা সাদা রেসের ঘোড়া ছিল । তবে, তার মধ্যে একটি ঘোড়া ছিল সাহেবের বড় প্রিয় । সেই ঘোড়াটির নাম পার্ল। রাতের বেলায় ওই ঘোড়াকে মাঝে মাঝে ছুটতে দেখা যায়।
খিদিরপুর ডক লখনউয়ের আওধ থেকে খিদিরপুরে এসেছিলেন নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ। ব্রিটিশরা নবাবকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়াধ দখল নেওয়ার বদলে তাঁরা তাঁকে লন্ডনে থাকার ব্য়বস্থা করে দেবেন সারাজীবনের জন্য। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি । ফলে আমৃত্যু তাঁকে কলকাতার খিদিরপুরেই থেকে যেতে হয়। রাত হলেই নাকি ওই ডকে ঘুরে বেড়ান অশরীরীরা।
রাইটার্স বিল্ডিং ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর তিন স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয়-বাদল-দীনেশ তৎকালীন ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন । অনেকে বলেন, এখনও রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সিম্পসনের আত্মা ঘুরে বেড়ায় । অনেকেই নাকি কান্নার আওয়াজ, বুটের আওয়াজও শুনতে পেয়েছেন রাতের বেলায়।
নিমতলা ঘাট মধ্য কলকাতায় রয়েছে নিমতলা শ্মশান ঘাট । শহরের প্রাচীনতম শ্মশান ঘাটে রাতের দিকে কিছু অদ্ভুত, রহস্যময় উপস্থিতি টের পেয়েছেন অনেকে ।