BY- Aajtak Bangla
3 April 2024
কেনাকাটার সময় কিছুটা বার্গেনিং বা দর কষাকষি না করলে যেন জিনিস কিনে মনে প্রশান্তি মেলে না!
তবে একদরের দোকানে আবার দর কষাকষি করে অপমানিত হওয়ার কোনো মানেই হয় না!
তবে অন্যান্য জায়গায় যেখানে বার্গেনিং করার সুযোগ আছে সেখানে এ সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাবেন?
অনেকেই হয়তো দর কষাকষিতে পটু, আবার কেউ কেউ দর কষাকষি করতে গিয়ে নিজেরাই ঠকে যান!
আসলে কেনাকাটার সময় দর কষাকষি করারও কিন্তু সঠিক নিয়ম আছে, চলুন সেই টিপস জেনে নেওয়া যাক-
প্রথমত, বিনয়ী হতে হবে। অনেকেই আছেন বিক্রেতার উপর চড়াও হয়ে বসেন, এটি কিন্তু আপনার অভদ্রতা। আপনি ক্রেতা বলেই যে বিক্রেতার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করবেন তা কিন্তু ঠিক নয়।
বিনয়ী হয়ে ও ভদ্রভাবে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলুন ও দামাদামি করুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর ঠিকই বিক্রেতা দাম কিছুটা হলেও কমিয়ে আপনার কাছে পণ্যটি বিক্রি করবেন।
আপনি দর কষাকষি শুরু করার আগে বাজার সম্পর্কে গবেষণা করুন। অন্যান্য দোকানি বা প্রতিযোগীরা কী কী অফার দিচ্ছে আর আপনি কী চাচ্ছেন, ওই পণ্যের যুক্তিসঙ্গত মূল্য কী হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন।
এজন্য আগে বাজার ঘুরে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম জানুন ও পরে কেনার সময় দর কষাকষি করুন। তাহলে ঠকবেন না, আর বিক্রেতাও আপনাকে ঠকাতে পারবেন না।
কারও সঙ্গে কথা বা যোগাযোগ করার সময় শারীরিক ভাষা ও মুখের অভিব্যক্তি কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। তাই কেনাকাটার সময় দোকানির সামনে আপনার এক্সপ্রেশন ঠিক রাখুন।
আপনি যদি রেগে কথা বলেন কিংবা বিক্রেতার উপর আক্রোশে ফেটে পড়েন তাহলে তিনিও আপনাকে সম্মান দেখাবেন না। হেসে ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করুন।
বর্তমান বাজার সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি বিক্রেতার দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। যদি একেবারেই বিক্রিতা দাম কমাতে না চান, তাহলে অতিরিক্ত বার্গেনিং করবেন না। বরং আপনার না পোষালে অন্য দোকানে গিয়ে ওই পণ্যের সন্ধান করুন।
এক দোকান থেকে যদি আপনি একাধিন জিনিস কেনেন, তাহলে দর কষাকষি করে আপনি সহজেই সফল হতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেশি পণ্য বিক্রির আশায় দোকানিও আপনার দরেই পণ্য দেবেন।