20 MARCH, 2025
BY- Aajtak Bangla
প্রায়শই এমনটা ঘটে যে কিছু মানুষ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পেট থেকে অদ্ভুত গর্জন শব্দ বের হতে শুরু করে। কখনও কখনও এই শব্দ এত জোরে হয় যে কাছাকাছি বসে থাকা লোকেরাও তা শুনতে পায়।
এই অবস্থা আপনাকে কেবল অস্বস্তিতে ফেলে না সঙ্গে মাঝে মাঝে পেটে ভারী ভাব এবং অস্বস্তিও সৃষ্টি করতে পারে।
পেটে এই ধরনের শব্দের অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন বদহজম বা পেটে গ্যাস জমে যাওয়া ইত্যাদি।
যদি আপনিও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না, এখানে কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার দেওয়া হল যার থেকে আপনি উপশম পেতে পারেন।
খাওয়ার পরপরই ভারী ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন, তবে ধীরে ধীরে হাঁটলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি গ্যাস বের করে দিতে এবং পেটের গুড়গুড় কমাতে সাহায্য করে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের হালকা হাঁটা যথেষ্ট হতে পারে।
খাওয়ার পর এক গ্লাস গরম জল পান করলে পাচনতন্ত্র শিথিল হয় এবং খাবার হজমে সাহায্য করে। উষ্ণ জল অন্ত্রকে শিথিল করে এবং সহজে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে, যার ফলে পেটের গর্জন কম হয়।
পেটে গরম জলের বোতল বা হিটিং প্যাড রাখলে পেশী শিথিল হয় এবং গ্যাসের কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি কম হয়। তাপ পাকস্থলীতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং গুড়গুড় শব্দ থেকে মুক্তি দেয়।
যদি ঘরোয়া প্রতিকার তাৎক্ষণিক উপশম না দেয়, তাহলে আপনি ওভার-দ্য-কাউন্টার গ্যাসের ওষুধ খেতে পারেন। এগুলিতে সিমেথিকোনের মতো উপাদান রয়েছে যা গ্যাসের বুদবুদ ভেঙে আরাম প্রদান করে। তবে, এগুলি ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আদা এবং পুদিনা উভয়ই হজমশক্তি উন্নত করতে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার পর আদা বা পুদিনা চা পান করলে পেটের গুড়গুড় এবং অস্বস্তি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি তাজা আদা বা পুদিনা পাতা জলে ফুটিয়ে চা তৈরি করতে পারেন।
আঙুল দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে পেটে আলতো করে ম্যাসাজ করলে আটকে থাকা গ্যাস বের হতে সাহায্য করে এবং পেটের পেশী শিথিল হয়। এই প্রক্রিয়াটি পেটের গুড়গুড় কমাতে সাহায্য করতে পারে।