দুটো টোকা মেরেই বলে দেবেন তরমুজ মিষ্টি না পানসে, ৫ টিপস!
দাম দিয়ে তরমুজ কিনেও অনেকে ঠকে যান। এক্ষেত্রে অজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। বাজারে গিয়ে ভালো মানের একটি লাল রঙের তরমুজ কিনতে হলে লক্ষ রাখুন ৫ বিষয়ে।
লক্ষ রাখুন
পাকা তরমুজের বোঁটা বাদামি হয়। বেশি পেঁকে গেলে এই বোঁটা খসে পড়ে যেতে পারে। কিন্তু কাঁচা তরমুজের বোঁটা থাকবে সবুজ রঙের। তাই লাল তরমুজ কিনতে চাইলে সবুজ রঙের বোঁটার তরমুজ না কেনাই ভালো।
পাকা তরমুজের
তরমুজের গায়ে আঘাতের শব্দ যদি ট্যাপ ট্যাপ হয়, তবে তা লাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি আঘাতের শব্দ ড্যাপ ড্যাপ হয়, তবে তরমুজটি লাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
ট্যাপ ট্যাপ
উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের তরমুজ কাঁচা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে যে তরমুজের রঙে একটু হলুদাভ ভাব রয়েছে, তা লাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গাঢ় রঙের তরমুজ
পাকা তরমুজের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে চাপ দিলে খানিকটা ডেবে যাবে। ভেতরে পানির পরিমাণ থাকাতেই এমনটা হয়ে থাকে বলে বিক্রেতারা মনে করেন। কিন্তু তরমুজ কাঁচা থাকলে চাপ দিলে তা না ডেবে শক্ত অনুভূত হবে।
পাকা তরমুজের
বাজার থেকে তরমুজের খানিক অংশ কেটে দেখতে পারেন। এতে তরমুজ কৃত্রিমভাবে লাল রঙের করা হয়েছে কি না, তা-ও বুঝতে পারবেন।
তরমুজ কৃত্রিমভাবে লাল রঙের হলে তরমুজের গায়ে ইনজেকশনের ফুটোর চিহ্ন থাকবে। তাই এ ধরনের তরমুজ এড়াতে এর গায়ে কোনো ফুটো আছে কি না, অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।
তরমুজের গায়ে হলুদ দাগের দিকে খেয়াল রাখুন। হলুদ অংশ বেশি হওয়ার অর্থ, এটা দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে ছিল। ফলে ভাল করে পাকেনি। আর তরমুজ পাকা না হলে খেতে ভাল লাগে না
ভালোভাবে পাকা ও মিষ্টি তরমুজ নখ দিয়ে আঁচড়ালে ফেটে যায় না, চাপ দিলেও ফাটে না। অতিরিক্ত পাকা তরমুজে চাপ দিলে তা ফেটে যায়, তাই শক্ত তরমুজ কিনুন।
তরমুজের ডাঁটা বেশি সবুজ হলে বুঝবেন তা ঠিকমতো পাকেনি। ডাঁটা শুকিয়ে গেলে তরমুজ পাকা এবং মিষ্টি হয়।