16 JANUARY 2025
BY- Aajtak Bangla
অনেক সময় চিকিত্সকরা পরামর্শ দেন নানা রকম ফল বা সবজির জ্যুস খাওয়ার। এত শরীরের পুষ্টি, ভিটামিন শক্তি যোগায়। কিন্তু, এখন এটাও বলা হচ্ছে প্রস্রাব বা মূত্র পান করলে স্বাস্থ্যে চমকপ্রদ উপকার হয়।
দাবি করা হয়, প্রস্রাব ত্বক সংক্রান্ত রোগ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যন্ত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। যদিও আয়ুর্বেদে গোমূত্রের উপকারিতার কথা বলা হয়েছে।
তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই এবং এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। সত্যিই কি তাই? জানুন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
চিনারা তাদের প্রস্রাব পান করে। শুধু তাই নয়, প্রস্রাব দিয়ে তাদের চোখ ও মুখও পরিষ্কার করে, কারণ তারা বিশ্বাস করে এটি করলে মুখের উজ্জ্বলতা এবং দৃষ্টিশক্তি অটুট থাকে। ইউরিন থেরাপির মতে, প্রস্রাব ওজন কমাতে কার্যকর।
চিনের কিছু মানুষ এমনকি চায়ের মতো প্রস্রাব পান করে। এছাড়াও, চোখের ড্রপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
চিনে প্রস্রাব পান করার প্রথা বহুদিন ধরেই চলে আসছে। আজ এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ইউরোফ্যাগিয়া বা ইউরোথেরাপি, যেখানে প্রস্রাব শরীরের জন্য আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়।
প্রাচীন রোম, গ্রীস এবং মিশরের একাধিক রিপোর্ট দেখায় যে ব্রণ থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সমস্ত কিছুর চিকিৎসার জন্য ইউরিন থেরাপি ব্যবহার করা হত।
প্রস্রাব পান করলে ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ রক্তে প্রবেশ করতে পারে। প্রস্রাব আমাদের শরীর থেকে নির্গত একটি বর্জ্য পদার্থ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হয়।
এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশের পর মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিন থেরাপিকে একটি অতি প্রাচীন থেরাপি বলে মনে করা হয়, যেখানে প্রস্রাব শরীরের জন্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে, প্রস্রাবে মিনারেল, অ্যান্টিবডি, এনজাইম এবং হরমোন পাওয়া যায়, যা মুখের দাগ দূর করতে পারে। প্রস্রাব একটি অ্যান্টিসেপটিক হিসাবেও কাজ করতে পারে।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইউরিন থেরাপি করা থেকে বিরত থাকুন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধু আপনার তথ্যের জন্য। এটি প্রয়োগ করার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)