24 November 2023
BY- Aajtak Bangla
খুব সাধ করে রান্না শেষ করে স্বাদ ঠিকঠাক আছে কিনা দেখতে মুখে দিয়েই বুঝলেন ঝালটা মারাত্মক হয়ে গিয়েছে।
বাড়ির বাচ্চা থেকে বুড়োকে এই ঝাল কাঁদিয়ে ছাড়বে। তা এই অবস্থায় কী করণীয়!
ফেলে দেবেন নাকি অতক্ষণ ধরে রান্না করা খাবারটা! একেবারেই নয়। বরং বেশ কিছু টোটকা মাথায় রাখলেই দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে।
লেবুর রস ঝাল কমাতে খুবই সাহায্য করে। তাই যে কোনও খাবারেই ঝাল কমাতে লেবুর রস দিয়ে দিন পরিমাণ মতো।
স্যুপ বা ঝোল রয়েছে এমন খাবারে ঝাল বেশি হলে তাতে যোগ করুন কয়েক টুকরো আলু। ঝাল অনেকটাই কমে যাবে।
কোনও কিছু ডুবিয়ে ভাজার জন্য তৈরি করা ব্যাটারে ঝাল বেশি হলে তাতে মিশিয়ে নিন খানিকটা দুধ। ঝাল অনেকটাই কমে আসবে।
চাঁপ, রেজালা, কোর্মা-জাতীয় খাবারে ঝাল বেশি হলে তাতে যোগ করুন বাদাম- বাটা তাহলে ঝাল অনেকটাই কমে যাবে।
অ্যাসিড উপাদান যেমন- ভিনিগার, সিট্রাস বা টক ফলের রস এমনকি ক্যাচআপ খাবারের বাড়তি মশলাভাব কমাতে সহায়তা করে।
ভাজাভুজিতে ঝাল বেশি হলে তা টকদই সহযোগে পরিবেন করুন। ঝাল বোঝাই যাবে না।
অতিরিক্ত ঝাল করে রান্না করা খাবারে যোগ করতে পারেন মিষ্টি, অর্থাৎ চিনি, মধু বা গুড়। এতে খাবারে মিষ্টি ভাব আসবে। তবে মিষ্টি দেওয়ার সময় অবশ্যই এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সরাসরি মিষ্টি না দিয়ে রান্নায় মিষ্টি-জাতীয় খাবার- পেঁয়াজ ও টমেটো ইত্যাদি মিশিয়েও ঝালভাব কমানো যায়।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং অতিরিক্ত মশলাভাব কমাতে বাদামের মাখন বা পিনাট বাটারও উপকারী। এই মাখন খাবারে মশলার ঝাঁঝ কমায় এবং পুষ্টিমান বাড়ায়।
সুপ বানানোর পর যদি মনে হয় বেশি ঝাল হয়েছে তখন যোগ করতে পারেন অতিরিক্ত জল।
আবার নুডুলস বা পাস্তায় আরও পেঁয়াজ, গাজর, আলু, মটর ইত্যাদি যোগ করে ঝালের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারেন।