BY- Aajtak Bangla

এই ২ ভিটামিনের অভাবেই অপুষ্টির শিকার হচ্ছে আপনার বাচ্চা,  কী করবেন?

15  March  2024

গ্রাম হোক বা শহর, আজকাল সবার খাবারেরই অবনতি হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, প্রিজারভেটিভ ও কেমিক্যালযুক্ত জিনিস খাওয়ার কারণে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না।

বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে পুষ্টির অভাবের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে যে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। এই দুটি অপরিহার্য ভিটামিনের অভাবে শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।

 গবেষণা অনুসারে, ৫ বছরের কম বয়সী ৪৫% শিশু মারাত্মক অপুষ্টির কারণে জীবন হারাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয় নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস, সূর্যালোকের অভাবসহ আরও অনেক কারণ।

এমতাবস্থায় জেনে নিন  কীভাবে শিশুকে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে রক্ষা করা যায়।

  শিশুদের খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্য অন্তর্ভুক্ত করুন। এর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়।

আপনাকে অবশ্যই দিনে ২-৩ বার শিশুকে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়াতে হবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় দুধ, দই বা পনির অন্তর্ভুক্ত করুন।

আজকাল শিশুদের ঘরে বদ্ধ  করে রাখা হয়। তাদের শুধুমাত্র সন্ধ্যায় খেলার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারে না।

আপনি যদি বাচ্চাদের ফিট রাখতে চান, তবে তাদের প্রতিদিন ১ ঘন্টা সকালের রোদে খেলতে পাঠান। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।

শিশুর খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন একটি করে ডিম রাখুন। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।

ভিটামিন B12 এর ঘাটতি ডিম খেয়েও পূরণ করা যায়। পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য, ডিমের কুসুমও খাওয়ান। এতে ভিটামিন ডি রয়েছে।

 শিশুদের ডায়েটে কমলা অন্তর্ভুক্ত করুন। কমলালেবুতে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আপনি চাইলে শিশুদের কমলার রসও দিতে পারেন।

কমলালেবুতেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন শিশুদের কমলা খাওয়ান।