3 February 2024
BY- Aajtak Bangla
চাণক্য প্রণীত নীতি অনুসরণ করলে একজন ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। চাণক্য বুদ্ধিমান ও মূর্খ ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায় দিয়েছেন।
একজন বুদ্ধিমান মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আমরা যদি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, তাহলে তাঁর সঙ্গে আমাদের বুদ্ধিমানের মতো কথা বলা উচিত।
আচার্য চাণক্য তাঁর চতুরতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সামনের ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি তাঁর নীতি বই অর্থাৎ চাণক্য নীতিতে মানুষকে বশ করার পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। আসুন জেনে নেই সেই নীতিগুলো সম্পর্কে।
কখনও কখনও আমরা একগুঁয়ে লোক দ্বারা বেষ্টিত থাকি, আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন তাদের মন পরিবর্তন করতে পারি না। তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে আমাদের বিষয়বস্তুর জ্ঞান থাকতে হবে।
একই সঙ্গে একজন ব্যক্তির প্রকৃতি বোঝা উচিত। মানুষের স্বভাব অনুযায়ী আচরণ করলে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
চাণক্যের নীতি বলে যে একজন লোভী ব্যক্তিকে শুধুমাত্র অর্থ দিয়ে বা কিছু আশা দেখিয়ে বোঝানো যায়। তার মানে আপনি টাকা ছাড়া একজন লোভী ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করতে পারবেন না। আপনি তাদের কিছু টাকা দিলে তারা আপনার কথা মেনে নেবে।
একজন মূর্খ ব্যক্তিকে বোঝানোর জন্য আপনাকে তার মানসিকতা দেখতে হবে এবং তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তারা যা পছন্দ করে তা করা তাকে খুশি করবে এবং সে আপনাকে বিশ্বাস করবে। তবেই আপনি যা বলবেন তিনি তা করতে পারবেন।
একজন জ্ঞানী ব্যক্তির সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কথা বলা উচিত, বোকার মতো নয়। সত্যি কথা বলতে কি যৌক্তিকভাবে কথা বললে আপনি যা বলবেন তা তিনি মেনে নেবেন, তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই জ্ঞানী হতে হবে। অন্যথায় তারা আপনার কথা শুনবে না।
অহংকারী ব্যক্তিকে বোঝাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে অবশ্যই তাদের কাছে মাথা নত করতে হবে। চাণক্য বলেছেন যে আপনি যদি তাদের কাছে হাত জোড় করে ভিক্ষা করেন বা তাদের প্রণাম করেন তবে তারা অজান্তেই আপনার দাসে পরিণত হবে।