BY- Aajtak Bangla
21 Oct, 2024
হ্যাপি হরমোনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হরমোন হলো ডোপামিন। কোনো ভালো লাগা বা আনন্দের কাজ করার পর মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বহুগুণে বেড়ে যায়।
এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে সুখানুভূতি তৈরি হয়। যেমনটি হয় প্রাণ খুলে হাসলে, পছন্দের খাবার খেলে, গান শুনলে, প্রিয় মানুষের সাহচর্যে গেলে, প্রিয় দল খেলায় জিতলে, অফিসে বস বা সহকর্মীর প্রশংসা পেলে, প্রেমে পড়লে।
পছন্দের খাবার খেলে ডোপামিন বাড়তে পারে। এ সত্য অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
নিয়মিত ব্যায়ামে ডোপামিন বাড়ে। যেকোনো ধরনের ব্যায়ামই করতে পারেন।
যেকোনো লক্ষ্য পূরণ হলে আপনার শরীরে ডোপামিন বাড়বে। রোজকার জীবনে ছোটখাটো কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
নিজের আবেগ-অনুভূতি, মতামত, ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সঙ্গী যেন যথাযথ সম্মান করে, এটা প্রায় সব নারীর চাওয়া। আর এসব কখনো মুখ ফুটে বলার বিষয়ও নয়। তাই পুরুষ সঙ্গী হিসেবে এসব বিষয় মাথায় রাখুন, মেনে চলুন।
যেকোনো কাজ, যাতে আপনি নিজেকে প্রশান্ত করতে পারেন, তাতেই আপনার দেহে ডোপামিন বাড়বে। নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মীয় জীবনাচরণের জন্য কিছুটা সময় রাখতে পারেন রোজ। ধ্যানও করতে পারেন।
বই পড়লে ডোপামিন নিঃসরণ হয়। ছুটির দিন দুপুরে আয়েশ করে শুয়ে গল্প-উপন্যাসের বই পড়ার অভ্যাসটা হারিয়ে গেছে শহুরে জীবন থেকে। দিনের যেকোনো সময়েই কিছু একটা পড়ুন।
অন্যের জন্য কিছু করুন। বাড়ির কাজে হাত লাগান। গৃহকর্মী নিশ্চয়ই আপনার কাজে সহায়তা করবেন, কখনো কখনো আপনিও তাঁর নির্ধারিত কাজে হাত লাগাতে পারেন।
প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ সামলানোর এক দারুণ উপায়। প্রকৃতির মধ্যেও কাটাতে পারেন কিছুটা সময়। এ ধরনের কাজেও ডোপামিন নিঃসরণ হয়। বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে সেগুলোকে সময় দিন রোজ। পথের প্রাণীদের জন্যও কিছু করতে পারেন।
আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হোন। সম্পর্কের বন্ধন যত অটুট থাকবে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আপনি যতটা নিরাপদ বোধ করবেন, শরীরের ডোপামিনের ভারসাম্য রাখা ততই সহজ হবে।
ইতিবাচক অনুভূতিগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে আমাদের কর্মোদ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন অফিসে প্রশংসা পেলে সেই কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সেই কাজে নিজের দক্ষতার ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং কাজটি ভবিষ্যতে আবার করার সুযোগ পেলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।