12 October, 2023

BY- Aajtak Bangla

এক মাসেই কমবে ওজন, এই ৩ উপায়ে খেয়ে দেখুন ইসবগুল

 ইসবগুলের ভুষির নাম আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। এটি বহু বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া এবং পেট সম্পর্কিত রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

 ইসবগুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যার কারণে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এছাড়াও ফ্যাট এবং ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকায় এটি স্থূলতা সৃষ্টি করে না।

তবে এটি খাওয়ার সঠিক উপায় রয়েছে, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার কোমর এবং পেটের মেদকে বিদায় জানাতে পারেন।

ইসবগুলির ভুসিকে  পেটের রোগের প্রতিষেধক বলা হয়। ইসবগুলের ভুসি পেটে উপস্থিত জল দ্রুত শোষণ করে, যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।

 শরীরের বেশি ওজন কমাতে, আপনি ত্রিফলা এবং ইসবগুলের একটি পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। এর জন্য এক গ্লাস হালকা গরম জলে ইসবগুলের ভুসি এবং এক চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। অন্ত্র পরিষ্কারের পাশাপাশি এটি ওজন কমাতেও উপকারী।

 ইসবগুলের স্বাদ কিছুটা ফিকে। আপনি যদি ত্রিফলার সঙ্গে এটি খেতে না পারেন তবে আপনি এটি দইয়ের সঙ্গে  ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এক বাটি দই নিয়ে তাতে এক চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে নিন। এটি পান করলে পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হয় যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে।

আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে  ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। এর জন্য এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে ১ চামচ ইসবগুলের ভুসি মেশান। এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং কোমরের চারপাশে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমায়।

 প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য রাখতে অনেক সাহায্য করতে পারে। এটি চিনির স্পাইক নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। দিনে দুবার ৫ গ্রাম ইসবগুল খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ইসবগুল শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে  সাহায্য করে। বীর্য ঘন করার পাশাপাশি অর্গ্যাজমও বাড়ায়। ইসবগুল অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।