BY- Aajtak Bangla

গলদা ও বাগদা চিংড়ির পার্থক্য কী? অনেক আচ্ছা বাঙালিও জানে না

24 APRIL, 2025

মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। তার মধ্যে চিংড়ি মাছও অনেকের পছন্দের তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকে। 

কচুশাক দিয়ে চিংড়ি, ডাব চিংড়ি, চিংড়ির মালাইকারি, লাউ চিংড়ি, প্রণ পোলাও, চিংড়ির চপ, কাটলেট ইত্যাদি রকমারি স্বুসাদু পদের নাম শুনলেই জিভে জল আসার উপক্রম। 

চিংড়ির উপকারিতাও অনেক। ক্যালোরি, প্রোটিন, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নিয়াসিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১২, আয়োডিনের মতো পুষ্টিগুণে সম্পন্ন  এই মাছ।

তবে অনেকেই জানেন না, গলদা আর বাগদা চিংড়ির ফারাক কোথায়। জানুন কী কী পার্থক্য এই দুই ধরণের চিংড়ি মাছের। 

গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল তাদের বাসস্থান, আকার এবং কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য। 

গলদা চিংড়ি সাধারণত মিষ্টি জলে বাস করে, অন্যদিকে বাগদা চিংড়ি লোনা জলে বাস করে। গলদা, বাগদা চিংড়ির তুলনায় আকারে বড় হয়। 

গলদা চিংড়ি মূলত মিষ্টি জল বা স্বাদু জলেতে বাস করে, তবে অল্প নোনা জলেও পাওয়া যায়। বাগদা চিংড়ি প্রধানত নোনা জলে বাস করে, তবে প্রজননকালে অল্প নোনা জলে আসে। 

প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় গলদা চিংড়ি তুলনামূলকভাবে আকারে বড় হয়, অন্যদিকে বাগদা চিংড়ি তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট হয়।  

গলদা চিংড়ির প্রথম দুটি বক্ষোপাঙ্গ চিলেটের মতো বা সাঁড়াশির মতো অংশে রূপান্তরিত হয়। বাগদা চিংড়ির প্রথম তিনটি বক্ষোপাঙ্গ চিলেটের মতো বা সাঁড়াশির মতো অংশে রূপান্তরিত হয়। 

গলদা চিংড়ির রং সাধারণত হালকা সবুজ বাদামি, বাগদা চিংড়ির রঙ হালকা বাদামি। গলদা চিংড়ির ফুলকো শাখা আকৃতির এবং বাগদা চিংড়ির ফুলকা ল্যামেলারের মতো।  

গলদা চিংড়ির নখরযুক্ত পা তিন জোড়া এবং বাগদা চিংড়ির নখরযুক্ত পা দুই জোড়া।