27 APRIL, 2025
BY- Aajtak Bangla
গ্রীষ্মের ফল তরমুজ খুবই পুষ্টিকর। এই ফলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে, যা সরাসরি ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
গ্রীষ্মে প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয় না এবং মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার সম্ভাবনাও কমে। নিয়মিত এই ফল খেলে পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মতো সমস্যা কমে। তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন তরমুজ কি খাবার খাওয়ার আগে না পরে খাওয়া উচিত?
সকাল তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়। খালি পেটে ব্রেকফাস্টে এই ফল খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। দুপুরের খাবারের ১ ঘন্টা আগেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি হজম ব্যবস্থা উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
ব্যায়ামের পরেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এবং জলের ঘাটতি পূরণ করে। গ্রীষ্মকালে বিকেলেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে, এটি শরীরকে ঠান্ডা করে।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পেট ভরা রাখে। খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খেলে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে পারবেন। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
রাতে তরমুজ খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হতে পারে। খাবারের পরপরই তরমুজ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি গ্যাস এবং হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। খালি পেটে তরমুজ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সকালে তরমুজ খেলে শরীর সতেজ থাকে।
তবে ফ্রিজ থেকে বের করার পরপরই তরমুজ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে গলাব্যথা এবং হজম ব্যবস্থার ক্ষতি হতে পারে।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের বিকেলে তরমুজ খাওয়া উচিত। এতে উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ থাকে, যার কারণে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে এবং ক্ষুধা লাগে না, যার ফলে ওজন হ্রাস পায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে প্রতিদিন নিয়মিত তরমুজ খেলে ওজন কমানো সহজ হয়। ।
গরম ফলের সঙ্গে তরমুজ খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে পেট খারাপ হতে পারে এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কলা, কমলা, আঙ্গুরের সঙ্গে তরমুজ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এগুলোর সঙ্গে তরমুজ খেলে গ্যাস, বদহজম এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে। ।