BY- Aajtak Bangla
দম্পতিদের মধ্যে মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরে। এটি কি বিশ্বাসের প্রতীক, নাকি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার?
অনেকে মনে করেন, দম্পতিদের মধ্যে বিশ্বাস থাকলে মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে সমস্যা নেই।
আবার কেউ বলেন, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার থাকা উচিত, তা সে বিবাহিত হোক বা সম্পর্কে থাকুক।
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে, যা সে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে চায় না। মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে এবং এটি না দেওয়াই স্বাভাবিক।
যদি কেউ জোর করে সঙ্গীর মোবাইলের পাসওয়ার্ড জানতে চান, তাহলে তা সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে। সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত বিশ্বাস, নজরদারি নয়।
কেউ কেউ মনে করেন, দম্পতিদের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকা ভালো, তাই মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিত। অন্যদিকে, স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রাখাও সম্পর্কের সুস্থতার জন্য জরুরি।
একজনের ব্যক্তিগত জিনিসে অন্যজন অনুমতি ছাড়া নজরদারি করলে তা অসম্মানের শামিল হতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে সম্মান বজায় রাখার জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রয়োজন।
অনেক ক্ষেত্রে সঙ্গীকে পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করা হয়, যা সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে ব্যক্তি স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়।
মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা সম্পর্কের প্রতি আনুগত্যের চিহ্ন হতে পারে, তবে এটি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয়। সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস, সম্মান, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।