BY- Aajtak Bangla

ঘাতক ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম! চিনে নিন উপসর্গগুলি

18 SEPTEMBER, 2023

খাবার থেকে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু নতুন কিছু নয়। কাঁচা, আধসেদ্ধ ডিম, মাছ বা মাংস থেকে স্যালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া, না ফোটানো দুধে বা দুগ্ধজাত খাবারে জন্মানো লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাক্টেরিয়া শরীরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আগের দিনের বেঁচে যাওয়া বাসি ভাত পরের দিন গরম করে খাওয়ার অভ্যাস অনেক বাড়িতেই আছে। বাসি ভাত সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে তার মধ্যে ব্যাসিলাস সেরেয়াস নামের ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়।

এই ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে যে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়, সেটাই ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম। বাসি ভাত বা ভাত দিয়ে তৈরি কোনও খাবার থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত হলে বমি হবেই।

কোনও খাবার খাওয়ার পর ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোমে আক্রান্ত হলে বা শরীরে ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে ১ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক বার বমি হতে পারে।

ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়া শরীরে ঢোকার পর আক্রান্ত ব্যক্তির গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইন ট্র্যাকের ভিতর বাসা বাঁধে আর সেখানেই শুরু হয় বিষক্রিয়া।

গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইন ট্র্যাকের ভিতর বিষক্রিয়ার ফলে অন্ত্রেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক বার জলের মতো মলত্যাগ করেন আক্রান্ত ব্যক্তি।

অতিরিক্ত বমি আর জলের মতো মলত্যাগের কারণে শরীর থেকে জল বেরিয়ে গিয়ে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পেটের পেশির দ্রুত সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে অসহ্য ব্যথা হতে শুরু করে।

ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশিষ্ট খাবার বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখা যাবে না।

ভ্যাপসা গরমে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি খাবারে বিষক্রিয়ার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে কাচের, এয়ার টাইট পাত্র ব্যবহার করাই ভাল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্না করা খাবার ফ্রিজে তোলার আগে দেখে নিন সেটা পুরোপুরি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এসেছে কিনা। সতর্ক থাকলে ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।