বিকেলবেলার আড্ডা হোক বা বর্ষার দিনে চায়ের সঙ্গে মুখরোচক খাবার, সিঙাড়া (Singara) দেখলেই বাঙালির জিভে জল আসে।
অনেকেই জানেন না, সিঙাড়াকে ইংরেজিতে ‘Rissole’ বলা হয়। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এটি মূলত Samosa নামেই বেশি পরিচিত।
হিন্দিতে সিঙাড়াকে সামোসা বলা হলেও, স্বাদের দিক থেকে দুইটি খাবার পুরোপুরি এক নয়। সিঙাড়া সাধারণত নরম ও মুচমুচে হয়, যেখানে সামোসা তুলনামূলকভাবে বেশি কড়কড়ে।
সিঙাড়া ভারতীয় খাবার নয়, এর উৎস ইরান। সেখান থেকে এটি মিশর, লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ভারতবর্ষে আসে।
মুঘলদের হাত ধরে ভারতবর্ষে সিঙাড়ার প্রচলন শুরু হয়। তখন এর পুর হিসেবে কিমা বা মাংস ব্যবহৃত হতো। পরে ভারতীয় সংস্কৃতিতে এটি আলুর পুরযুক্ত স্ন্যাকসে রূপ নেয়।
সিঙাড়াকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়—
ইরানে: Sambosa
মিশরে: Sanbusak
লিবিয়ায়: Sanbusaj
বিশেষত বর্ষার দিনে গরম তেলে ভাজা মুচমুচে সিঙাড়া খাওয়ার আলাদা আনন্দ আছে। এটি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, আবহাওয়া উপভোগের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।
সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশে সিঙাড়ার স্বাদ ও উপকরণ বদলেছে। কিছু দেশে মিষ্টি সিঙাড়া, সবজির পুর, এমনকি চিজ বা চকোলেট সিঙাড়াও তৈরি করা হয়।
বাঙালির খাদ্যতালিকায় সিঙাড়া শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। সাধারণ চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেল পর্যন্ত সিঙাড়ার কদর সবখানেই রয়েছে।