06 March, 2025

BY- Aajtak Bangla

শিঙাড়ার ইংরেজি কী? আচ্ছা আচ্ছা লোক জানে না 

ভারতীয় সামোসা ও বাংলা সিঙ্গারার মধ্যে গঠন ও স্বাদের কিছু পার্থক্য রয়েছে। সিঙ্গারা সাধারণত হালকা ফ্লেকি হয় এবং ভেতরে সবজির পুর থাকে, যেখানে সামোসা হয় মোটা এবং বেশি মশলাদার।

অনেকেই জানেন না, সিঙাড়াকে ইংরেজিতে ‘Rissole’ বলা হয়। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এটি মূলত Samosa নামেই বেশি পরিচিত।

ধারণা করা হয়, সামোসার উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যে এবং পরে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রিয় হয়। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে পাওয়া যায়।

সিঙাড়া ভারতীয় খাবার নয়, এর উৎস ইরান। সেখান থেকে এটি মিশর, লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ভারতবর্ষে আসে।

সিঙ্গারা সাধারণত টমেটো সস বা মিষ্টি-ঝাল চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়, যা এর স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।

সিঙাড়াকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়— ইরানে: Sambosa মিশরে: Sanbusak লিবিয়ায়: Sanbusaj

বিশেষত বর্ষার দিনে গরম তেলে ভাজা মুচমুচে সিঙাড়া খাওয়ার আলাদা আনন্দ আছে। এটি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, আবহাওয়া উপভোগের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।

সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশে সিঙাড়ার স্বাদ ও উপকরণ বদলেছে। কিছু দেশে মিষ্টি সিঙাড়া, সবজির পুর, এমনকি চিজ বা চকোলেট সিঙাড়াও তৈরি করা হয়।

বাঙালির খাদ্যতালিকায় সিঙাড়া শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি আবেগ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। সাধারণ চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেল পর্যন্ত সিঙাড়ার কদর সবখানেই রয়েছে।