9  FEB, 2025

BY- Aajtak Bangla

সোনার গুপ্তধন খুঁজে পেলে প্রথমেই কী করবেন? না জানলেই জেলে পচবেন

আপনি যদি পুঁতে রাখা গুপ্তধন খুঁজে পান, আপনিও আনন্দে লাফাতে শুরু করবেন। কিন্তু এই সুখ বেশিদিন থাকবে না।

এমন হবে যা হাতে এল কিন্তু মুখে পৌঁছল না। আসুন জেনে নিই ভারতে সোনা খুঁজে পাওয়ার পর কী হয়।

প্রথমত, গুপ্তধনের জন্য খনন ভারতে বেআইনি। ১৯৬০ সাল থেকে ভূগর্ভস্থ খননের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার।

১৯৭১ সালে মাটিতে পাওয়া গুপ্তধন নিয়ে আইন করা হয়। এর নামকরণ করা হয় ডাফিনা অ্যাক্ট। এই আইনে মাটির নীচে কেউ খনন করতে পারবে না।

ধন মানে মাটির মধ্যে লুকিয়ে থাকা যে কোনও মূল্যের কিছু বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু। এসব বিষয়ে প্রথম অধিকার রাষ্ট্রের।

গুপ্তধন পেয়ে তা বিক্রির কথা ভাবাও ভুল। ধরুন, একজন কৃষক তাঁর ক্ষেতে খনন করতে গিয়ে কিছু গুপ্তধন খুঁজে পেলেন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষককে প্রথমে পুলিশকে জানাতে হবে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুপ্তধন আটক করে। এ সময় কৃষককেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হয়। যেমন- কৃষক কত টাকা পেয়েছেন, ধন কোথায় পাওয়া গেছে, গুপ্তধন পাওয়ার তারিখ কী ছিল।

প্রশাসনকে তথ্য না দিলে কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ গ্রেফতার ও বিচার করতে পারে। আইনে দোষী প্রমাণিত হলে একজন ব্যক্তি ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

গুপ্তধন জব্দ করার পর তা সরকারের কাছে জমা করা হয়। এর পর গুপ্তধন হয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় বা সরকারি কোষাগারে যায়। গুপ্তধন কত পুরানো তা নির্ধারণ করা হয়। যদি কোনও কিছু ২০০ বা ৩০০ বছরের পুরনো হয় সেগুলি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে জমা করা হবে। সোনা পাওয়া গেলে তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।