3 November 2023
BY- Aajtak Bangla
অনেক সময় নবজাতকের গলায় দুধ আটকে শ্বাসকষ্ট থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
শিশু অনেক কাঁদছে বা হাত-পা নড়াচড়া করছে, ঠান্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেছে, এই ধরনের অবস্থায় শিশুকে শোয়া অবস্থায় দুধ খাওয়ানো একেবারেই ঠিক নয়।
অনেক পরিবারের ধারণা শিশুর নাক টিপে ধরলে শিশু বড় করে হা করবে। তখন তাকে বেশি খাওয়ানো যাবে। এই ধরনের ভুল ধারণা নিয়ে শিশুকে নাক চিপে খাওয়ালে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
খাওয়ানোর পরে শিশুকে প্রতিবার পিঠে কয়েকবার চাপড়ে দিতে হয়। শিশুরা খাবার সময় অনেক বেশি বাতাস গিলে ফেলে। পিঠে চাপড়ে দিলে বাতাস মুখ দিয়ে বের হয়ে যাবে।
যে সব উপসর্গ দেখে বুঝবেন শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বা শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাচ্ছে
হঠাৎ খাবারের সময় বা খাবারের পরে ছটফট করবে। শিশুর বেশি কাশি হবে এবং ঘন ঘন শ্বাস নিবে। এ ছাড়া চোখ বড় বড় করে তাকাবে এবং মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে পড়বে।
খাবার পরে শিশুর শরীর হঠাৎ নীলচে হয়ে গেলে বুঝতে হবে শিশুর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। কারণ, খাদ্যনালির পরিবর্তে দীর্ঘ সময় শ্বাসনালিতে দুধ আটকে থেকে শিশুর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ত
শিশুকে শুয়ে শুয়ে ব্রেস্টফিডিং করানো যাবে না। কোলে নিয়ে বসে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার খাওয়ানোর পরে শিশুকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে পিঠে কয়েকবার চাপড়ে দিতে হবে।
শিশুকে টিকা দেওয়ার পরে জ্বর আসতে পারে। এই সময় শিশুর নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে। এই অবস্থায় শিশুকে খাওয়ানোর সময় যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।