13 july, 2024
BY- Aajtak Bangla
আঁচড় বা কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই এমন বিড়াল মালিক খুঁজে পাওয়া দায়। আদুরে প্রাণী হলেও নানা সময় দুর্ঘটনাবশত বিড়ালের নখের আঁচড়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যেতে পারে। এমনকি ক্ষেপে গেলে বিড়ালের কামড় খাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
তবে আঁচড় বা কামড় খাওয়ার পর অনেকেই বুঝতে পারেন না কী করবেন। অনেকে আবার জলাতঙ্কের আতঙ্কেও থাকেন। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের সমস্যায় পড়লে কী করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মাঝেমধ্যে বিড়ালের আঁচড় লাগলেও তেমন ক্ষত তৈরি হয় না। এ ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জীবাণুনাশক দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্ষত গভীর হলে বা অতিরিক্ত রক্তপাতে অবহেলা করবেন না। বিশেষ করে যদি কামড়ে ক্ষত হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
র্যাবিস ভাইরাস বা জলাতঙ্কের জীবাণু রোধে সবচেয়ে কার্যকর হলো সাবান জল। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সল্যুশন এই জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না। তাই ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবান জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হবে না।
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে তরল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে স্যাভলন ও ডেটল বেশি কার্যকর। এরপর রক্তপাত বন্ধ করতে ব্যান্ড এইড বা গজ ব্যবহার করতে পারেন।
রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যান্ড এইড খুলে দিতে ভুলবেন না। কেননা বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতস্থানে ধনুষ্টঙ্কারের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা ক্রিম ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
ক্ষত গভীর না হলেও এতে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ফলে হালকা ক্ষত দেখে অবহেলা করবেন না। দেখুন ক্ষতস্থান ফুলে গেছে কি না। এ ছাড়া লাল হয়ে গেলে, রক্তপাত বন্ধ না হলে বা তীব্র ব্যথা করলে বুঝবেন জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। তখন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
বেশির ভাগ সময় আঁচড়ের ফলে বয়স্কদের কিছু না হলেও ছোটদের জ্বর চলে আসে। এটি জীবাণুঘটিত কারণে হয়। একে বলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ। জ্বর আসা, ফোসকা পড়া, পিঠ বা পেটব্যথার মতো লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। এতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
যে ক্ষত খুব গভীর বা যদি ক্ষত মুখে হয় তবে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার আপনার ক্ষতটি ভালো করে ধুয়ে দেবেন ও প্রয়োজন হলে আরও চিকিৎসা দেবেন।
আপনার বিড়ালে এলার্জি থাকলে বিড়াল থেকে দূরে থাকুন। কারণ সেক্ষেত্রে বিড়ালের আঁচড়ে আপনার চামড়ার বেশি ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও বিড়ালের লোম থেকেও এলার্জিকদের হতে পারে শ্বাসকষ্ট।
সবাইকে বিশেষত গর্ভবতী মায়েদের বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে দূরে রাখুন। কারণ এর মাধ্যমে টক্সোপ্লাজমোসিস নামে ভয়াবহ রোগ হতে পারে। টক্সোপ্লাজমোসিসে গর্ভবতী মায়ের ফ্লু- এর মত লক্ষণ দেখা দিলেও গর্ভের বাচ্চার এনকেফাইলাইটিস ( মস্তিষ্কে সংক্রমন), বা বাচ্চার হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কান, চোখ ইত্যাদিতে দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। তাই এই ব্যাপারেও সাবধান থাকা অত্যন্ত জরুরি।