28 AUGUST, 2024
BY- Aajtak Bangla
ডায়েট শুধুমাত্র শরীরকে প্রভাবিত করে না। বরং ব্রেনের উপরও প্রভাব ফেলে। অতএব, আপনার ডায়েটে এমন কিছু অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন, যা শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়েরই উপকার করে।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি আজকাল ভুলে যাচ্ছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের নয়, সঠিক ডায়েট দরকার। অবিলম্বে আপনার ডায়েটে পরিবর্তন করুন।
আপনার খাদ্যতালিকায় এই জাতীয় খাদ্য আইটেম অন্তর্ভুক্ত করুন, যা স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসগুলো কী, যা খেলে মস্তিষ্ক রকেটের মতো দ্রুত ছুটতে শুরু করে।
হলুদ রান্না এবং ওষুধ উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। এতে রয়েছে কারকিউমিন নামক যৌগ, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদ দুধ খেতে পারেন। হলুদ চা বা হলুদের জলও পান করতে পারেন।
বীজও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। উদাহরণস্বরূপ, কুমড়োর বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার এবং আয়রন, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা স্মৃতিশক্তি, শেখার এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা মস্তিষ্ক এবং শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আপনি এগুলিকে স্ন্যাক্স হিসাবেও খেতে পারেন, সালাডে ছিটিয়ে দিতে পারেন বা স্মুদি বা দইতে যোগ করতে পারেন।
সবশেষে, মস্তিষ্ককে শাণিত করার জন্য আপনাকে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। বিশেষ করে সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক এবং মেথি খেতে ভুলবেন না। করলা এবং ব্রকলিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বাদাম, আখরোট এবং খেজুরের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শুকনো ফল স্মৃতিশক্তি, ফোকাস এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। এই পাওয়ার-প্যাকড স্ন্যাকসগুলি নিউরাল পথগুলিকে সাপোর্ট করে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
মস্তিষ্কের জন্য আপনার ডায়েটে ডিম অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করে। কারণ ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন, যা মস্তিষ্ককে কাজ করতে সাহায্য করে। আসলে, ডিমে পাওয়া কোলিন কোষ এবং মনে রাখার ক্ষমতার মধ্যে সেতুর মতো কাজ করে। কোলিন প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও ডিমে ভিটামিন B2 এবং B12, আয়রন এবং ট্রিপটোফ্যান থাকে যা মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা কমায় এবং ঘুমোতে সাহায্য করে।