18 JANUARY 2025
BY- Aajtak Bangla
বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ ভাত খেয়ে মোটা হয়ে যাচ্ছে। ভাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ভাত শরীরে অপরিহার্য কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে।
যারা থালায় পাহাড় সমান ভাত সজিয়ে খান, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ওজনও বাড়ে।
তবে যারা কম ভাত খান, তাদের অতটুকুও কি ছেড়ে দেওয়া উচিত?
এক মাসের জন্য ভাত ছেড়ে দিলে শরীরে কী হবে? ক্ষতি নাকি লাভ হবে জেনে নিন।
প্রেশার কুকারে ভাত রান্না করা উচিত না। ভাতে উপস্থিত স্টার্চ অ্যাক্রিলামাইড নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত যা ভাতের সঙ্গে মিলে যায়, এটি শরীরের জন্য খারাপ।
পশ্চিমবঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। এখানে জল জাতীয় খাবার শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই এই রাজ্যে থাকলে ভাত দিনে একবার খাওয়াটা জরুরি।
এছাড়াও, ভাত একমাস খাওয়া ছেড়ে দিলে ক্যালোরির মাত্রা কমতে শুরু করে। এই কারণে ভাত খাওয়া ছাড়লে ওজন কমে যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে এক মাস ভাত খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে শুরু করলে আবার বেড়ে যাবে।
ভাত খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। যারা ভাবেন ভাত বন্ধ করলেই রোগা হওয়া যাবেন, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোগা হতে চাইলে সারা দিনে শরীর যতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছে, তার চেয়ে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়।
যাঁরা 'লো কার্ব ডায়েট' করেন, তাঁরাও ডায়েটে ভাত রাখেন। ভাতে কোনও রকম গ্লুটেন নেই। ভাত খাওয়ারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন, ভাত অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।