BY- Aajtak Bangla
30 August, 2024
ছোটবেলা থেকেই এমনটা হয়ে আসছে অনেকের সঙ্গেই, জ্বর হলেই ভাত খাওয়া বন্ধ! ফলমূল, শাকসবজি আর দু’বেলা বার্লি, সাগু বা দুধ-চিঁড়ে— এই ছিল জ্বরের খোরাক।
কপাল ভাল থাকলে, বড়জোড় রুটি খাওয়ার সুযোগ হতো। জ্বর হলে কি ভাত খাওয়া অনুচিত? জ্বরের মধ্যে ভাত খেলে কী হতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
জ্বর হলেও এখন কিন্তু ভাত খাওয়ায় চিকিৎসকদের কোনও আপত্তি নেই। বরং অসুখ বিসুখে সহজপাচ্য খাদ্যতালিকায় ভাতকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকে।
ভাতে ৭৮ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ৭ শতাংশ, ফ্যাট ০.৫ শতাংশ থাকে। ১০০ গ্রাম ভাত থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৩৪৫ ক্যালোরি। এছাড়া এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, ভাত ফুটিয়ে তার মাড় ফেলার সময় ওই মাড়ের সঙ্গেই ভাতের অনের পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে চলে যায়।
অসুখ-বিসুখ, জ্বর-জ্বালা হলে অনেকেই ভাতের চেয়ে রুটি খেতে বেশি পছন্দ করেন। গমের আটার রুটি অবশ্যই পুষ্টিকর এবং এর পুষ্টিগুণও ভাতের মতোই।
তবে প্রচুর রাফেজ বা ফাইবার জাতিয় খাদ্য উপাদান থাকার ফলে রুটি হজম করতে অসুবিধা হয়। জ্বর বা শরীর অসুস্থ হলে এমনিতেই আমাদের হজমে সহায়ক বিভিন্ন উৎসেচকের ক্ষরণ কমে যায়।
উৎসেচকের ক্ষরণ কমার ফলে রুটি হজম করাটা এই সময় একটু মুশকিল হয়ে পড়ে। এর জেরে বদ হজম, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
তাই, অসুখ-বিসুখ, জ্বর-জ্বালায় ভাত খেতে ইচ্ছে না করলেও এই সময়টায় এটাই সহজপাচ্য এবং উপকারী, এমনটাই মত চিকিৎসক-পুষ্টিবিদদের।