17 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
অনেকেই দীক্ষা বা গুরুমন্ত্র নিয়ে থাকেন। কেউ খুব ছোটো বয়সে নেন আবার কেউ বয়স কালে।
তবে গুরুমন্ত্র বা দীক্ষা নিলেই হয় না। সেজন্য মানতেও হয় অনেক নিয়ম।
তবে ঠিক কত বছর বয়সে বা কোন সময় গুরুমন্ত্র বা দীক্ষা নেওয়া উচিত? এই প্রশ্নও থাকে অনেকের মনে।
এই বিষয়ে প্রেমানন্দ জি মহারাজ জানান দীক্ষা তখনই নেওয়া উচিত যখন মন থেকে সায় আসে। কার কথায় দীক্ষা নেওয়া উচিত নয়।
প্রেমানন্দজ মহারাজ আরও বলেন, দীক্ষা নিলে বা কাউকে গুরু মানলে মনকে প্রস্তুত করা উচিত।
মনকে এমনভাবে প্রস্তুত করা উচিত যাতে গুরু বললে কেউ প্রাণ দিতেও রাজি হয়ে যায়।
দীক্ষা নেওয়ার পর গুরু নিবেদিত প্রাণ হওয়া উচিত। মানসিকভাবে এতটা শক্তিশালী না হলে গুরু দীক্ষা নেওয়া উচিত নয়।
প্রেমানন্দজী বলেন, ভজন, পুরো-অর্চনা, জপ এগুলো সাধারণ কাজ। সবাই করতে পারে। তবে গুরুসেবা সহজ কাজ নয়। গুরুকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে হয়। তাই যথাযথ গুরু নির্বাচন করাও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অনেকে নিজের মন থেকে গুরুর দীক্ষা নেন না। মন্ত্র নেন সাধারণত পরিবারের সদস্যদের কথায় বা অন্যকে নিতে দেখে।
তবে যে প্রকৃত শিষ্য সে সব সময় মন থেকে নিজেই গুরু নির্বাচন করে। তাই দীক্ষা নেওয়ার পর সব সময় গুরুর কথাকে নির্দেশ হিসেবে মেনে চলা প্রয়োজন।