29 APRIL 2025
BY- Aajtak Bangla
ডাল যা ভারতীযদের বাড়িতে প্রতিদিন তৈরি হয়। যা কেবল সুস্বাদুই নয়, শরীরকে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার এবং খনিজ পদার্থও সরবরাহ করে।
কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে ডাল রান্না করার সময় কখন হলুদ এবং নুন যোগ করতে হবে, যাতে এর স্বাদ এবং পুষ্টি উভয়ই অক্ষুণ্ণ থাকে।
ডাল রান্নার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে, এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না এবং প্রতিটি কামড়ের সাথে আমরা আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি।
হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং এতে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডাল ফুটানোর সময় হলুদ দেওয়া ভালো।
হলুদ মসুর ডালের সাথে রান্না করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়, যাতে এর ঔষধি গুণাবলী ডালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়।
অন্যদিকে, নুন দেওয়ার একটি সঠিক সময় আছে, যা মানুষ প্রায়শই উপেক্ষা করে। মসুর ডাল রান্নার আগে বা প্রাথমিক পর্যায়ে নুন দিলে, ডাল শক্ত হয়ে যাবে এবং রান্না হতে বেশি সময় লাগবে।
নুনে উপস্থিত সোডিয়াম আয়ন মসুর ডালের বাইরের স্তরকে শক্ত করে তোলে, যার কারণে মসুর ডাল সম্পূর্ণ নরম হতে পারে না।
অতএব, সবসময় মনে রাখবেন যখন ডাল সম্পূর্ণরূপে রান্না হয়ে যাবে এবং সহজেই চটকে ফেলা যাবে তখনই লবণ যোগ করতে হবে।
পরের বার যখন ডাল বানালে ফোটার সময় হলুদ এবং রান্নার পরে নুন দিতে ভুলবেন না। এই ছোট্ট অভ্যাস বদলালে খাবারের পুষ্টির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তবে কুকারে ভুলেও ডাল রান্না করবেন না। ডালের স্টার্চ শরীরে গিয়ে ক্ষতি করে। ডাল কড়াই বা অন্য পাত্রেই ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। এর স্টার্চ ওপর থেকে ফেলে দিন।