10 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
কলকাতার যেমন রসগোল্লা জনপ্রিয়, তেমনই বিশ্ববিখ্যাত মিষ্টি দইয়ের স্বাদ। বাঙালির রসনার এক অতি জনপ্রিয় পরিচয় এই মিষ্টি দই।
শেষ পাতে মিষ্টি দই ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে বা ভূরিভোজের শেষ পাতে মিষ্টি দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। যতই প্যাকেটজাত দই বাজারে পাওয়া যাক না কেন, মিষ্টির দোকানে পাতা, জমাট দইয়ের স্বাদের আমেজই আলাদা।
ভাত খাওয়ার শেষে একটু মিষ্টি দই হলে গোটা মেনুটাই যেন একেবারে জমে ক্ষীর! থুড়ি জমে দই! চলুন জেনে নেওয়া যাক কলকাতার সেরা মিষ্টি দইয়ের ঠিকানার সন্ধান।
বইপাড়ার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান এই পুঁটিরাম। সকালের জলখাবারে এখানকার কচুরি-ছোলার ডালের সুনামের কথা সবাই জানে। কিন্তু ১৭০ বছরের পুরনো এই দোকানের পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি মিষ্টি দইও কিন্তু খুব জনপ্রিয়।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। ১৯২৫ সালে এই দোকানটি স্থাপিত হয়। এখানকার দইয়ের বিশেষত্ব হল দই বসাতে সরসমেত দুধ ব্যবহার করা হয়। চিনি দিয়ে সেই দুধ দীর্ঘ ক্ষণ ফোটানোর কারণে দইয়ে প্রাকৃতিক ভাবে লালচে রং ধরে।
১৮০ বছরের পুরনো এই দোকান মিষ্টি দইয়ের এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে দইয়ের ‘সাঁজা’ তৈরির একটি বিশেষ পদ্ধতি আছে। দুধে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি দিয়ে দুধ ফুটে যত ক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ ফোটানো হয়। তারপর তাকে ঠান্ডা করে দই বসানো হয়। আম দই, সাদা দই এবং মিষ্টি দই– এই তিন ধরনের দই পাওয়া যায় এই দোকানে।
৫০ বছর ধরে এই দোকানের সাদা মিষ্টি দই খুবই জনপ্রিয়। এখানে দইয়ে কোন রং বা ডালডা ব্যবহার করা হয় না। গ্রীষ্মকালে হিমসাগর আম দিয়ে বানানো এখানকার আম দইয়ের ভক্তসংখ্যা নেহাত কম নয়।
মিষ্টি দইয়ের জন্য উত্তর কলকাতা জনপ্রিয় হলেও দক্ষিণ কলকাতাও কম যায় না কিন্তু! এই দোকানে ১০০-২৫০ গ্রামের দইয়ের ভাঁড়ের কাটতি সবচেয়ে বেশি। এখানেও গ্রীষ্মে বেশ ভাল আমদই পাওয়া যায়।
বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান গাঙ্গুরাম। এখানকার মিষ্টি দইও একবার খেলে মুখে লেগে থাকে।
ফরিয়াপুকুরের অমৃত সুইটসও মিষ্টি দই খুবই বিখ্যাত। শহরের প্রবীণ লোকজনের কাছে এই দোকানের খুবই জনপ্রিয়তা।
কলেজ স্ট্রিটের যাদব চন্দ্র দাসের মিষ্টির দোকানের দইও কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত। এই দোকানের দই পছন্দ করতেন সত্যজিৎ রায়, সুচিত্রা সেন, কিশোর কুমার।
তালতলার সাদা মিষ্টি দইয়ের জন্য বিখ্যাত যশোদা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। ৬ দশক ধরে বাঙালির অন্যতম প্রিয় দইয়ের ঠিকানা।