BY- Aajtak Bangla
12th July, 2024
সঞ্চয়ী হতে হলে যে আপনাকে কর্মজীবী হতেই হবে, এমন কিন্তু নয়। পেশাগত জীবনে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই গড়ে তুলতে পারেন এ অভ্যাস।
এমনকি শৈশব থেকেই গড়ে তোলা যায় সঞ্চয়ের অভ্যাস। বড় হওয়ার পরেও এ অভ্যাসের সুফল পাওয়া যায়।
মাটির ভাঁড়ে বা পিগি ব্যাঙ্কে পয়সা জমানোর জন্য সন্তানকে দিতে পারেন, যেখানে সে অর্থ সঞ্চয় করবে। তার শখের কোনো জিনিস কেনার জন্য একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
শিশু-কিশোরদের আলাদা আয়ের উৎস না থাকলেও টিফিনের টাকা থেকে কিছুটা সঞ্চয় করা সম্ভব। এতে সন্তানের মধ্যে সঞ্চয় করার আগ্রহ বাড়বে।
উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পর টুকটাক কাজ করার সুযোগটা কাজে লাগান অনেকেই।
পার্টটাইম জব বা ছোটদের পড়ানোর মতো কাজ থেকে নিজের হাতখরচ মেটানোর পাশাপাশি খানিকটা সঞ্চয়ও করা যেতে পারে এই সময়ে।
কেরিয়ারের শুরুতে কিছুটা ধরাবাঁধা রোজগার শুরু হয়। সাধারণত এ সময়ের আয়ের পরিমাণটা আহামরি কিছু হয় নয়। তবু নিজের খরচ সামলে অনেকেই পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
এই সময় সঞ্চয়ের সুযোগ কমই থাকে। তবু চেষ্টা করুন, যাতে প্রতি মাসে আয়ের ২০ শতাংশ সঞ্চয় করতে পারেন।
সঞ্চয়ের লক্ষ্যপূরণ পুরোপুরি সম্ভব না হলেও যতটা পারেন, চেষ্টা করুন। সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন।
বাড়তি ব্যয় করবেন না। বরং বাজেট করে খরচ করুন। মাসের শুরুতেই সঞ্চয়ের অর্থ আলাদা করে রাখুন।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে আয় রোজগার অনেকটাই বাড়তে পারে। কিন্তু আয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয় বাড়ালে ভবিষ্যতে মুশকিলে পড়তে পারেন। আগে বরং আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয় বাড়িয়ে নিন।
চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য আপনার কী প্রয়োজন, ভাবুন। বেহিসাবি খরচ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
কোনও খাতের খরচ বেঁচে গেলে সেটি সঞ্চয়ের হিসাবে যোগ করে নিন। জীবনধারায় এই পরিমিতিবোধ জীবনজুড়ে আপনার সুখের চাবিকাঠি হয়ে থাকবে।