18 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
মানুষের জীবনে ধাতুর ব্যবহার বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে। অলংকার হিসেবে ধাতব আংটি পরা একটি রীতি এবং ফ্যাশন উভয়ই। সম্পদের প্রতীক সোনা পরাকে উপকারী বলে মনে করা হয়। অনেকেই আঙুলে সোনার আংটি পরেন।
বিশ্বাস করা হয় যে সোনার আংটি পরলে সম্পদ, সাফল্য এবং সৌভাগ্য আসে। কিন্তু, কোন হাতে এবং কোন আঙুলে সোনার আংটি পরা উচিত?
ভুল আঙুলে সোনার আংটি পরলে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন আঙুলে সোনার আংটি পরা উচিত এবং কোন আঙুলে পরা উচিত নয়।
ভারতে সোনাকে সর্বদা শুভ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে ভারতকে 'সোনার পাখি' বলা হত। আজও বিয়ে, উৎসব, পুজো এবং শুভ অনুষ্ঠানে সোনার প্রচুর ব্যবহার করা হয়।
সোনা কেবল সৌন্দর্যের মাধ্যমই নয়, এটি দেবী লক্ষ্মীর প্রতীকও বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে সোনা পরলে ঘরে সুখ ও শান্তি আসে এবং জীবনে ইতিবাচকতা আসে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সোনা পরলে সূর্য গ্রহ শক্তিশালী হয়। সূর্য জীবনে শক্তি, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। যাদের কোষ্ঠীতে দুর্বল সূর্য থাকে তাদের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং সাফল্য পেতে সোনা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যদি আপনি জীবনে অগ্রগতির পথ খুলে দিতে চান এবং দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনার অনামিকা আঙুলে সোনার আংটি পরা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে অনামিকা আঙুলের শিরাগুলি সরাসরি হৃদয়ের সঙ্গে সংযুক্ত, তাই এতে সোনার আংটি পরলে কেবল আর্থিক সুবিধাই হয় না বরং জীবনে ইতিবাচক শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া, কনিষ্ঠা আঙুলে সোনার আংটি পরাও শুভ বলে বিবেচিত হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মধ্যমা আঙুলে সোনার আংটি পরা মোটেও ভালো বলে বিবেচিত হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মধ্যমা আঙুলটি শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতে সোনার আংটি পরলে শনি এবং সূর্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তাই এই আঙুলে সোনার আংটি না পরাই ভাল।
এটি আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে অর্থের ক্ষতি, ঝামেলা এবং অসুবিধা হতে পারে। মধ্যমা আঙুলে কখনও সোনার আংটি পরবেন না।
কখনও এটি আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলিতে পরবেন না। বৃদ্ধাঙ্গুলি চাঁদের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এতে সোনার আংটি পরা উচিত নয়। বেশিরভাগ মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আংটি পরেন না। কিন্তু যদি আপনি বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আংটি পরতে চান, তাহলে রুপোর আংটি পরুন, এটি শুভ বলে বিবেচিত হয়।
Disclaimer: এই খবরটি সাধারণ তথ্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।