BY- Aajtak Bangla
14 APRIL 2025
দুগ্ধজাত পণ্য দুধ থেকে তৈরি হয়। তাদের প্রধান উৎস দুধ। বাজারে অনেক দুগ্ধজাত পণ্য রয়েছে যা মানুষ প্রতিদিন খায়।
ঘি, বাটার মিল্ক, দুধ, পনির, দই ইত্যাদিকে দুগ্ধজাত দ্রব্য বলা হয়। অনেকের ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না, তাদের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলে।
যারা দুগ্ধজাত দ্রব্য ভালোবাসে, তারা বুঝতে পারে না দুধ, পনির এবং দইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী।
জানুন দুধ, পনির এবং দইয়ের মধ্যে কোনটার পুষ্টিগুণ বেশি।
২৫০ মিলি ফ্যাটবিহীন দুধে ৯০ ক্যালরি, ৯ গ্রাম প্রোটিন, ৮ শতাংশ ভিটামিন বি ১২ এবং ২ শতাংশ ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি ১২ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ১ শতাংশ সোডিয়াম, ২ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ৪ শতাংশ পটাসিয়াম রয়েছে।
দুধে উপস্থিত পটাশিয়াম থাকায় এটি হাড়কে সুস্থ রাখতে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, দুধ যে পুষ্টি দেয় তা অন্য কোনও খাবার থেকে পাওয়া যায় না। দুধ পান করার আগে ফুটিয়ে নিতে হবে যাতে তা সঠিকভাবে হজম হয়।
উচ্চ প্রোটিনের কারণে পনির ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং হজমশক্তিকেও সুস্থ রাখে।
১০০ গ্রাম পনিরে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন এবং প্রায় ২৬০- ৩০০ ক্যালোরি থাকে। চর্বির পরিমাণ ২২ গ্রাম এবং কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬ গ্রাম। এই পরিমাণ চর্বি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
দই দুধের চেয়ে সহজে হজম হয় এবং পেট বেশিক্ষণ ভরা রাখে। ভাল ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ, দই পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণকেও দূরে রাখে।
কম চর্বিযুক্ত দইতে ৯৮ ক্যালোরি এবং ১১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া এতে বাকি ভিটামিন ও খনিজ দুধের মতোই থাকে।
প্রতিটি দুগ্ধজাত পণ্যের নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করলে সব ধরনের সুবিধা প্রদান করতে পারে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার খেতে চাইলে, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।