BY- Aajtak Bangla
09 April, 2025
গরু, মহিষ, ছাগল, এমনকি গাধা বা উটের দুধের প্রচলন থাকলেও আরশোলার দুধের কথা শুনলে অবাক হতে হয়। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, আরশোলার দুধে গরুর দুধের চেয়েও তিন গুণ বেশি পুষ্টি রয়েছে।
রান্নাঘর বা ভাঁড়ারে দেখা সাধারণ আরশোলার দুধ নয়, এটি নির্দিষ্ট প্রজাতির আরশোলার দুধ। প্যাসিফিক বিটল ককরোচ (Pacific Beetle Cockroach), যার বৈজ্ঞানিক নাম ডিপ্লোটেরা পাঙ্কটাটা (Diploptera punctata)— এই প্রজাতির আরশোলাই দুধ উৎপন্ন করে।
গবেষণা বলছে, আরশোলার দুধকে সুপারফুড হিসেবে ধরা হচ্ছে। এতে প্রোটিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা পুষ্টিগুণে গরুর দুধকেও ছাড়িয়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুধ আরশোলার বাচ্চাদের শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রবেশ করানো হলে পাকস্থলীতে এটি সাদা দানাদার পদার্থে রূপান্তরিত হয়।
গরুর দুধের মতো তরল নয়, বরং ঘন দুধের মতো পদার্থ নিঃসৃত হয় আরশোলার শরীর থেকে। এতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, ফ্যাট এবং শর্করা থাকে।
২০১৬ সালে ‘জার্নাল অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ক্রিস্ট্যালোগ্রাফি’-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে আরশোলার দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়।
এখনো পর্যন্ত আরশোলার দুধ মানুষের খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। এটি মূলত গবেষণার স্তরেই রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, গবেষণার আরও উন্নতি হলে ভবিষ্যতে আরশোলার দুধ থেকে পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট তৈরি হতে পারে।