6 AUG, 2024

BY- Aajtak Bangla

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন, কেই এই ইউনুস?

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসনা। তারপরেই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সেনা প্রধান।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণাও করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার বলেছেন, দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।

এদিকে নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা।

২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন মহম্মদ ইউনুস ও তাঁর ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক।

মহম্মদ ইউনুস আরও বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং 2২০১০ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পান।

মহম্মদ ইউনুস চট্টগ্রামের বথুয়া গ্রামে ১৯৪০ সালের ২৮ জুন এক বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর বাবা ছিলেন হাজি দুলা মিঁয়া শওদাগর এবং মা সুফিয়া খাতুন। ১৯৪৪ সালে তাঁর পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে।

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। বিএ এবং এমএ পাস করেন।

তিনি ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ডক্টরেট পান। তিনি ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তিও পেয়েছিলেন।

এরপর তিনি মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।

তিনি ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেন মহম্মদ ইউনুস, যা বাংলাদেশকে বিশ্বে 'মাইক্রো ক্রেডিট' (ছোট ঋণ) হিসাবে খ্যাতি এনে দেয়। ইউনুস গ্রামীণ টেলিকম নামে একটি কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেন। 

বিশ্বব্যাপী সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০১১ সালে সোশ্যাল বিজনেস - গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০৭ সালে মহম্মদ ইউনুস 'নাগরিক শক্তি' নামেএকটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

২০১১ সালে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে ইউনুসকে বরখাস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার ১৯০টিরও বেশি মামলা করেছে।

চলতি বছরের শুরুতেই মহম্মদ ইউনুসকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত।