10 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
প্রায়ই আপনি একজন পুরুষের কাছ থেকে শুনতে পাবেন যে একজন বিবাহিত পুরুষ বেশি অসুখী, কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু বলছে।
বিবাহিত পুরুষরা বিবাহিত মহিলার চেয়ে বেশি সুখী। হ্যাঁ, আমরা নই, যুক্তরাজ্যের একটি সার্ভে এমনটাই বলছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী অবিবাহিত নারীরা বেশি সুখী।
বিয়ের পর ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবনেই পরিবর্তন আসে। কিন্তু মেয়েদের জীবন আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে বিবাহিত পুরুষ এবং অবিবাহিত মহিলারা অন্যদের তুলনায় বেশি সুখী।
ইউকে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) দ্বারা পরিচালিত ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিবাহিত পুরুষরা অবিবাহিত পুরুষদের চেয়ে বেশি সুখী, আর বিবাহিত মহিলাদের চেয়ে বেশি সুখী অবিবাহিত মহিলার।
বিবাহিত পুরুষ ও অবিবাহিত নারীরা কেন সুখী থাকে তার পেছনে একটি নয়, অনেক কারণ দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর পেছনের কারণ।
একজন বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে একটি শক্তিশালী মানসিক সমর্থন এবং স্থিতিশীলতা পায়। সঙ্গীর সঙ্গে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়াই তাদের জন্য ভালো। তারা কম একাকীত্ব অনুভব করে।
এখন বউ বাড়ি এলে পুরুষের লাইফস্টাইল নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এর মধ্যে রয়েছে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে পোশাক পরা এবং একজন মানুষের জীবন সাজানোর সবকিছু।
একজন বিবাহিত পুরুষ মনে করেন যে পরিবারের দায়িত্ব তার উপর বর্তায়। সেজন্য তিনি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন না। অ্যালকোহল বা ধূমপান ইত্যাদি সেবন করার আগে সে তার পরিবারের জন্য চিন্তিত থাকেন।
বিয়ের পর দুজনেই রোজগার করলে আর্থিক স্থিতিশীলতা বেশি থাকে। এটি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা এবং একটি আরামদায়ক জীবনযাপন করা সহজ করে তোলে। শুধু তাই নয়, কীভাবে টাকা বাঁচানো যায় সেদিকেও খেয়াল রাখেন স্ত্রী।
বিয়ের পর পুরুষের শারীরিক চাহিদা কোনও সমস্যা ছাড়াই পূরণ হয়। প্রেম এবং মানসিক সংযুক্তির পাশাপাশি পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত হয়।
এদিকে একা নারী স্বাধীন ও স্বনির্ভর জীবনযাপন করে। তারা তাদের মন অনুযায়ী কাজ করে এবং সিদ্ধান্ত নেয়। আপনার কারও কথা শোনার দরকার নেই। তাদের কোনও কিছুতেই আপস করতে হবে না। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
পারিবারিক দায়িত্ব ছাড়া, অবিবাহিত মহিলারা তাদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত বিকাশের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন। তাদের স্বপ্ন পূরণ করা এবং নিজেদের জন্য সময় দেওয়া তাদের তৃপ্তি দেয়।
অবিবাহিত মহিলারা তাদের বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে গভীর এবং শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্ক তাদের মানসিক সমর্থন এবং সুখ প্রদান করে।
বিবাহ এবং সন্তানের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া নারীদের তাদের জীবন উপভোগ করার এবং নিজের দিকে মনোনিবেশ করার সুযোগ দেয়। শুধু তাই নয়, তাদের গৃহস্থালির খুব একটা কাজও করতে হয় না।