31 August, 2023
BY- Aajtak Bangla
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ডাক্তাররা বিভিন্ন রঙের ওষুধ দিয়ে থাকেন। ওষুধের এই রংগুলোর কি রোগের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে? নাকি ওষুধগুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্যই এগুলো রং করা হয়েছে।
এরকম অনেক প্রশ্ন প্রায়ই আপনার মনে ঘুরপাক খায়। কিন্তু উত্তর পান না। আজ আমরা ওষুধের রং সম্পর্কিত এই রহস্য তুলে ধরতে যাচ্ছি।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে মিশরীয় সভ্যতার সময় বড়ি আকারে ওষুধ প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। সে সময় মাটি বা রুটি মিশিয়ে সেসব ওষুধ তৈরি করা হত।
১৯৬০ সালের দিকে ওষুধ সাদা রঙের ট্যাবলেটে তৈরি করা শুরু হয়। পরবর্তীতে ওষুধ তৈরিতেও পরিবর্তন আসে। ১৯৭৫ সালের দিকে রঙিন ক্যাপসুল তৈরি করা শুরু হয়।
এছাড়াও, ওষুধের রঙে বিভিন্ন রং যুক্ত করা হয়েছিল। এখন আপনি যদি একটি মেডিক্যাল স্টোরে তাকান, আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন রঙের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।
এখন ওষুধের ক্যাপসুল তৈরিতে ৭৫ হাজারের বেশি রঙের সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। ট্যাবলেটের আবরণের জন্যও বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়।
এখন প্রশ্ন আসে কেন এই ওষুধগুলি নানা রঙের তৈরি করা হয়? আসলে এটি করা হয়েছে কারণ যারা নাম পড়ে ওষুধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তারা রং দেখে সহজেই ওষুধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। এ কারণে সঠিক ওষুধ শনাক্ত করা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।
ওষুধের রঙের সঙ্গে কিছু রোগের সম্পর্ক রয়েছে। যেসব রোগে কম কার্যকর ওষুধ দিতে হয় সেসব রোগের রং হালকা রাখা হয়। অন্যদিকে, কড়া ডোজের ওষুধের রঙ গাঢ় রাখা হয়।
শুধু তাই নয়, গন্ধ ও স্বাদের ভিত্তিতে ওষুধের রংও নির্ধারণ করা হয়।