BY- Aajtak Bangla
19 January, 2024
r
ওয়াজেদ আলি শাহ-র হাত ধরে কলকাতায় প্রথম বিরিয়ানির প্রবেশ আর একেবারেই ভিনদেশী এই পদটাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালবেসে ফেলল আপামর বাঙালি!
এই পদটি সামনে আসা মানেই সব ডায়েট ভুলে হামলে পড়া। আর সেটা যদি হয় কলকাতার বিরিয়ানি তাহলে তো কোনও কথাই হবে না।
নরম তুলোর মতো মাংস আর নধর একখানা আলু, মুখে পড়লেই যেন স্বর্গসুখের অনুভূতি দেয়। ইদানীং, বিরিয়ানির প্রতি বাঙালিদের টান আর ভালোবাসা যেন বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।
কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন, বিরিয়ানি তা সে যেমনই হোক, মটন, চিকেন, আন্ডা, আলু বা ভেজ…বিরিয়ানির পাত্রটি প্রায় সব দোকানেই একটা লাল কাপড়ে মোড়া থাকে।
কিন্তু লাল কাপড়েই কেন মোড়া থাকে? অন্য কোনও রং-এর কাপড়ে নয় কেন?
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, সম্রাট হুমায়ুনের খাদ্য পরিবেশনে ‘দরবারি রীতি’ অনুযায়ী, রুপোলি পাত্রের খাবারগুলির জন্য লাল কাপড় আর অন্য ধাতব বা চিনামাটির পাত্রগুলিকে সাদা কাপড়ে ঢেকে নিয়ে আসা হতো।
পরবর্তীকালে মুঘল দরবারেও এই রীতি অনুসরণ করা হয়। খাদ্য পরিবেশনের এই রীতি ও রঙের ব্যবহার লখনউয়ের নবাবরাও অনুসরণ করতেন।
সেই থেকেই বিরিয়ানির পাত্র লাল কাপড়ে ঢাকার রীতি চলে আসছে। সুতরাং বলা যায় আভিজাত্য বা ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই বিরিয়ানির হাঁড়িতে আজও লাল কাপড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
যদিও অনেকের মত, এর পিছনে কোনও ইতিহাস নেই। বরং দূর থেকে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়।
এর ফলে দূর থেকেই তা ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
তবে ইতিহাস বা ঐতিহ্যের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন, লাল কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানির পাত্রের সঙ্গে অসংখ্য ভোজন রসিক মানুষের একটা সম্পর্ক দীর্ঘ বেশ কয়েক দশকে তৈরি হয়ে গিয়েছে।