25January 2024
BY- Aajtak Bangla
ভালোবাসাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি বললে ভুল হবে না। এটি এমন একটি অনুভূতি যা কাউকে একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ করে তোলে এবং আমরা নিজের চেয়ে অন্যের যত্ন নিতে শুরু করি।
কিন্তু কেউ কি যে কোনও সময় প্রেমে পড়তে পারে নাকি প্রেমে পড়ার বিশেষ কোনও কারণ আছে, এমন সব প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্যে ভরা। তবে মনোবিজ্ঞানীরা প্রেমের বিশেষ কিছু কারণের কথা বলেছেন।
আমরা যদি প্রেমে পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর কথা বলি, তাহলে এগুলো হলো কারও প্রতি ঘনিষ্ঠতা, আবেগ এবং প্রতিশ্রুতির অনুভূতি। তবে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যার কারণে দুজন মানুষ প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে।
সাধারণত, যখন কেউ জানতে পারে যে অন্য ব্যক্তি তাদের পছন্দ করে, এটি প্রায়শই প্রেমে পড়ার কারণ হয়ে ওঠে। এইরকম পরিস্থিতিতে, দুজনের মধ্যে একটি পরিবেশ তৈরি হয় যেখানে তারা উভয়ই পৃথিবী থেকে আলাদা বোধ করতে শুরু করে।
অনেক সময় অজানা 'আই কন্টাক্ট'ও প্রেমে পড়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রায়শই দেখা গেছে যে তারা একে অপরকে গভীরভাবে বুঝতে আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং একে অপরকে জানার গভীর আকর্ষণ তৈরি হয়। এটি প্রেমের শুরু হতে পারে।
যদি কখনও এমন হয়ে থাকে যে কাউকে দেখার পর আপনার মুখ শুকিয়ে যেতে শুরু করে, আপনার গলা শুকিয়ে যেতে শুরু করে, আপনার হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন শুরু করে, আপনি একটি অজানা মানসিক চাপ অনুভব করতে শুরু করেন।
তাহলে এটি আসলে রক্তে সেরোটোনিনের মতো হরমোনের বৃদ্ধির কারণে, ডোপামিন, শরীরে অ্যাড্রেনালিন। এটি কোকেন সেবনের মতো একইভাবে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। এটি প্রেমে থাকার একটি লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
একটি রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য বিভিন্ন ধরণের রসায়ন প্রয়োজন। কারও প্রেমে পড়ার জন্য যতটা বাহ্যিক উদ্দীপনা প্রয়োজন, নিউরোকেমিক্যাল প্রক্রিয়াও ততটা প্রয়োজন।
মানে, কারও চেহারা এবং গুণাবলী ছাড়াও প্রেমে পড়ার কারণও বলা যেতে পারে মস্তিষ্কের নিউরোকেমিক্যাল প্রতিক্রিয়া।