20 MAY, 2025

BY- Aajtak Bangla

আপনার এই ভুলেই বাড়ছে বদহজমের সমস্যা, রইল সমাধানও

 আজকের দ্রুতগতির জীবনে, স্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল অনুসরণ করা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি, মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারও খায়।

এমন পরিস্থিতিতে পেটের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক, প্রত্যেক মানুষই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো পেট সম্পর্কিত কিছু সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু এর পেছনের কারণ কী হতে পারে জানেন কি?

এই পেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলি আপনার দৈনন্দিন ভুলের কারণে হয়, যা  অজান্তে আপনার পেট নষ্ট করে দিচ্ছে। যদি আপনি প্রায়শই পেটে ভারী ভাব, গ্যাস তৈরি, টক ঢেকুর বা পেট ব্যথার মতো সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে আপনার বদহজম হতে পারে।

অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া শুরু করি। এমন পরিস্থিতিতে, যখন আমরা তাড়াহুড়ো করে খাবার খাই, তখন বদহজম হতে পারে। আসলে, খাবার না চিবিয়ে দ্রুত খেলে হজম ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ে। দ্রুত চিবিয়ে এবং গিলে ফেলার ফলে, লালা খাবারের উপর কম প্রভাব ফেলে।

দ্রুত খাবার খাওয়া

 এছাড়াও, চিবানো ছাড়া খেলে পেটের উপর বেশি চাপ পড়ে। এর ফলে বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই খাবার ধীরে ধীরে এবং সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত তৈলাক্ত, মশলাদার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলেও বদহজম হতে পারে। যদিও বাজারের খাবার আমাদের  ভালো লাগে। কিন্তু এটা আমাদের পেটের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়।

মশলাদার খাবার খাওয়া

তৈলাক্ত, মশলাদার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পেটে অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া এবং গ্যাসের কারণ হতে পারে। তাই, প্রতিদিনের খাবারে সহজ, হালকা এবং তাজা ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।

অনেকেই জল পানের সঠিক পদ্ধতি জানেন না। হয় তারা খাওয়ার পরপরই খুব বেশি জল পান করেন, অথবা তারা একেবারেই জল পান করেন না। আপনার এই অভ্যাসটি আপনার হজম ব্যবস্থার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আসলে, খাওয়ার পরপরই জল পান করলে ডাইজেস্টিভ জুস পাতলা হয়ে যায়, যার ফলে খাবার হজমে সমস্যা হয়।

জল পানের ভুল পদ্ধতি

অন্যদিকে, খুব কম জল পান করলে খাবারের চলাচল ধীর হয়ে যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের কারণ হতে পারে। তাই, সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং ৩০ মিনিট পরে জল পান করুন।

মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাব আমাদের পাচনতন্ত্রের উপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। আপনি যদি মানসিকভাবে চাপে থাকেন, তাহলে এটি আপনার হজম ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, কম ঘুম আপনার পেটের উপরও প্রভাব ফেলে।

মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব