11 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
কাক অসুস্থ বোধ করলে, সোজা পিঁপড়ের কলোনিতে উড়ে যায়। সেখানে গিয়ে সে তার ডানা মেলে একেবারে চুপচাপ বসে থাকে। এই আচরণটি অদ্ভুত মনে হতে পারে, কিন্তু এর পিছনে বিজ্ঞান রয়েছে।
পিঁপড়ের শরীর থেকে নিঃসৃত ফর্মিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এই অ্যাসিডটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
এই কারণে, কাক প্রাকৃতিকভাবে নিজেকে সুস্থ করার জন্য পিঁপড়ার সাহায্য নেয়।
এটি কেবল কাকের মধ্যেই নয়, অনেক পাখির মধ্যেই পাওয়া যায়। পাখিরা নিজেরাই পিঁপড়াদের তুলে নেয়, তাদের পালকে ঘষে দেয় অথবা তাদের উপর দিয়ে হাঁটতে দেয়। এটি তাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া এবং পোকামাকড়কে মেরে ফেলে।
পিঁপড়ার সংস্পর্শে এসে কাকের শরীরে উপস্থিত পরজীবীগুলি নির্মূল হয়ে যায়। বিশেষ করে পালকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পোকামাকড় এবং ছত্রাকের মতো সমস্যা দূর হয়। একে কাকের প্রাকৃতিক ডিটক্সও বলা যেতে পারে।
কাকরা কেবল পিঁপড়ের সাহায্যে কোনও ওষুধ ছাড়াই নিজেদের চিকিৎসা করে। এই পাখিরা আমাদের শেখায় যে প্রকৃতিতে সবকিছুরই সমাধান আছে।
অনেক সময় পাখিরা নিজেরাই তাদের ঠোঁট দিয়ে পিঁপড়ে ধরে এবং তাদের পালকে ঘষে। এর ফলে পিঁপড়ার ফর্মিক অ্যাসিড সরাসরি তাদের শরীরে পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, তারা অনেক দ্রুত সুস্থ বোধ করতে শুরু করে।
আজ যখন আমরা ছোটখাটো জিনিসের জন্যও ওষুধের উপর নির্ভরশীল, তখন কাকের মতো পাখিরা আমাদের প্রাকৃতিক প্রতিকারের গভীর শিক্ষা দেয়।
কোনও খরচ ছাড়াই, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই চিকিৎসা সম্ভব, শুধুমাত্র প্রকৃতির শক্তির মাধ্যমে।