BY- Aajtak Bangla
15th March 2024
চলছে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র রমজান মাস। এই এক মাস রোজা রাখার রীতি রয়েছে ইসলামে।
সূর্য ওঠার আগে সেহরি খেয়ে সারাদিন রোজা রাখার পর সূর্যাস্তের পরই রোজা ভাঙেন রোজাদাররা।
ইসলাম ধর্মের পরম্পরা অনুযায়ী, ইফতারে খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা হয়। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে।
কিন্তু কেন খেজুর খেয়েই এই রোজা ভাঙার প্রথা রয়েছে ইসলামে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন রোজা রাখার পরে এমন জিনিস খাওয়া উচিত যাতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।
খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।
খেজুরের পুষ্টিগুণের কারণে এ ফলটি অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও ইসলামে বলা হয়েছে, খজুরে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। রোজা ভাঙার পর খেজুর খেলে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন রোজার পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল। ।
ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সারা দিন উপবাসের পরে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আটকায়। ।
এতে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পেতেই পেট ভরা লাগে। তা ছাড়া খেজুর আমাদের শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ভালো হয়। ।
রোজা রাখলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে।
সারা দিন রোজা থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।